বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন বিগত প্রায় চার দশকেরও অধিক সময় ধরে সর্ববৃহৎ বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে পরমাণু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রজ্ঞা এবং দূরদর্শী বলিষ্ঠ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে ১৯৭৩ সালে গড়ে উঠা এ প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে বাংলাদেশের বৃহত্তম বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠানের স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আর্ন্তজাতিক দায়বদ্ধতার অধীনে পরমাণু শক্তির অপব্যবহার নিরোধ এবং পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য, খাদ্য, কৃষি, শিক্ষা, শিল্পসহ জাতীয় অর্থনীতির বিভিন্ন খাতকে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন সহায়তা করে আসছে। এর মধ্যে দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠির জন্য অত্যাধুনিক পরমাণু চিকিৎসা সেবা প্রদান, আমদানীকৃত সকল খাদ্যদ্রব্যের তেজস্ক্রিয়তা পরীক্ষণের মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ, বিকিরণজনিত নিরাপত্তা চর্চা প্রতিষ্ঠা, পারমাণবিক রশ্মি প্রয়োগের মাধ্যমে চিকিৎসাসামগ্রী ও ঔষধ জীবাণুমুক্তকরণ, খাদ্য সংরক্ষণ, উন্নতমানের পলিমারসামগ্রী উদ্ভাবন, খাদ্য ও পরিবেশের নানা উপাদানের রাসায়নিক বিশ্লেষণ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। সর্বোপরি দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জ্বালানী নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে কমিশন কাজ করে যাচ্ছে।
১৯৭৩ সালের রাষ্ট্রপতির আদেশ নং-১৫ অনুযায়ী বা.প.শ.ক. এর উপর ন্যস্ত মূল দায়িত্বসমূহঃ