Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ জুলাই ২০১৮

স্বাস্থ্য পদার্থ ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট

 ভূমিকা :

এই গবেষণাগারে পেশাজীবী বিকিরণকর্মী ও জনগণের উপর বিকিরণ সম্পাতের মূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রণ এবং তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের সুষ্ঠু সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য তথা পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।

এইআরই সাভারে কেন্দ্রীয় তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে তরল/কঠিন তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ/বিদূষণকরণ কাজে প্লান্টটি নিয়মিতভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

১৯৮৮ইং সালে আই.এ.ই.এ/বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এসএসডিএল নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে পারমাণবিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে সেকেন্ডারী স্ট্যান্ডার্ড ডোসিমেট্রি ল্যাবরেটরী স্থাপন করা হয়। ইহা যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরী (প্রাইমারী স্ট্যান্ডার্ড) এবং আই.এ.ই.এ, ভিয়েনার ল্যাবরেটরীর অনুকরণে তৈরী করা হয়েছে।

 

লক্ষ্য/উদ্দেশ্যঃ

তেজস্ক্রিয় পদার্থ এবং তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মএবংপরিবেশকে রক্ষা করার জন্য স্বাস্থ্য পদার্থ বিজ্ঞান ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট নিম্নলিখিত কর্মকান্ড নিয়মিতভাবে বাস্তবায়ন করে চলেছেঃ  

  • পরিবেশগত তেজস্ক্রিয়তা পরিবীক্ষণ: এই কর্মসূচীর মাধ্যমে সাধারণ জনগণ ও পরিবেশে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ সম্পাত যাচাই এবং নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
  • তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা: এই কর্মসূচীর মাধ্যমে  তেজস্ক্রিয় বর্জ্য এবং তেজস্ক্রিয় সোর্সসমূহের নিষ্পত্তির পূর্ব পর্যন্ত নিরাপদ সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা  করা হয়।
  • সেকেন্ডারী স্ট্যান্ডার্ড ডোসিমেট্রি ল্যাবরেটরী: এই গবেষণাগারের সুবিধাদি ব্যবহার করে কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সহ এক্সটারন্যাল ও ইন্টারন্যাল বিকিরণ ডোসিমেট্রি সম্পাদন করা হয়।

 

কার্যক্রম/কর্মকান্ড :

পরিবেশগত তেজস্ক্রিয়তা পরিবীক্ষণ

পরিবেশগত তেজস্ক্রিয়তা পরিবীক্ষণ কর্মসূচীর আওতায় পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সাভারে অবস্থিত গবেষণা চুল্লী চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের ফলে সাধারণ জনগণ এবং পরিবেশের উপর কোন ক্ষতিকর প্রভাব আছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য এর ১০ কি.মি. ব্যাসার্ধের মধ্যে নিয়মিতভাবে সংগৃহীত পরিবেশগত নমূনায় তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পরিমাপন করা হয়।পরিবেশগতনমুনা বিশ্লেষণ এবং এতে উপস্থিত তেজস্ক্রিয় পদার্থ সনাক্তকরণের জন্য অত্র ইউনিট প্রয়োজনীয় সু্যোগ-সুবিধা প্রদানকারী উপকরণাদি, যেমন- গামা-রে স্পেক্ট্রমেট্রির জন্য এইচ পি জি ই ডিটেক্টর সিস্টেম, গ্রস আলফা-বিটা কাউন্টিং সিস্টেম ইত্যাদি দ্বারা সমৃদ্ধ।পরিবেশগত তেজস্ক্রিয়তা পরিবীক্ষণ কার্যক্রমসমূহ নিম্নরূপ:

  • উপযুক্ত নিরাপত্তা সীমা এবং ব্যবহার বিধি প্রনয়ণের জন্য বিকিরণ কর্মকান্ড পরিচালনার পূর্বে এবং পরে পরিবেশগত নমূনা যেমন: বাতাস, মাটি, পানি, ঘাস, খাদ্যদ্রব্য ইত্যাদি মনিটরিং করা হয়।
  • এইআরই-এর ভিতরে এবং বাহিরে (১৯৮২-১৯৮৬) বিকিরণ কর্মকান্ড পরিচালনার পূর্বে পারিপার্শ্বিক তেজস্ক্রিয়তা পর্যবেক্ষণের কাজ সম্পাদনের পর পরিচালনা পরবর্তী তেজস্ক্রিয়তা পর্যবেক্ষণের কাজও ধারাবাহিক ভাবে চলছে।পরিবেশগত নমূণা সংগ্রহের পরে প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম রেডিওনিউক্লাইডের জন্য গামা-রে স্পেক্ট্রমেট্রি সিস্টেমের সাহায্যে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা নির্ণয় করা হয়।
  • বেইজ লাইন ডাটাবেজ প্রণয়নের লক্ষ্যে দেশব্যাপী ব্যাকগ্রাউন্ড তেজস্ক্রিয়তা (প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম উৎস থেকে উদ্ভূত) ম্যাপিং এর কাজ চলমান আছে।

 তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

বাংলাদেশে কঠিন এবং তরল তেজস্ক্রিয় বর্জ্যসাধারণত গবেষণা,শিল্প, শিক্ষা, কৃষি, চিকিৎসা ইত্যাদি থেকে উৎপন্ন হয়। বিভিন্ন উৎস থেকে উদ্ভূত তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের মধ্যে কিছু পরিমাণ তেজস্ক্রিয়তা থাকে এবং এই বর্জ্য যদি যথোপযুক্তভাবে ব্যবস্থপনা না করা হয় তবে তা মানবদেহ ও পরিবেশের উপর মারাত্বক প্রভাব বিস্তার করে।

বিভিন্ন প্রকার কঠিন তেজস্ক্রিয় বর্জ্য, যেমন: আয়ন-এক্সচেঞ্জ রেজিন, গ্রাফাইট প্লাগ, ধাতব দ্রব্য, দূষণকৃত ভায়াল, হ্যান্ড গ্লাভস্, প্লাস্টিক সিরিঞ্জ, সু-কভার, প্রটেকটিভ ক্লথ, প্লাস্টিক এবং মেটালিক তার ইত্যাদি এইআরই-এর বিভিন্ন বিকিরণ স্থাপনা থেকে উৎপন্ন হয়। এছাড়া বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সার কারখানা, পেপার মিল ইত্যাদি থেকে স্পেন্ট এবং ডিস্‌ইউজড্  তেজস্ক্রিয় বর্জ্য উৎপন্ন হয়। এগুলোর মধ্যে কোবাল্ট-৬০, সিজিয়াম-১৩৪, সিজিয়াম-১৩৭, স্ট্রনসিয়াম-৯০, টেকনিশিয়াম-৯৯এম, এমারশিয়াম-২৪১, ফসফরাস-৩২ ইত্যাদি রেডিওনিউক্লাইড উল্লেখযোগ্য।

 

সেকেন্ডারী স্ট্যান্ডার্ড ডোসিমেট্রি ল্যাবরেটরীর কার্যক্রম

সেকেন্ডারী স্ট্যান্ডার্ড ডোসিমেট্রি ল্যাবরেটরী বিকিরণ নিয়ন্ত্রণ এবং বিকিরণ মাত্রা পরিমাপনে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ক্রমাংকণ ও প্রমিতকরণ কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। অত্র গবেষণাগার এসএসডিএল নেটওয়ার্কের অধীনে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য মাত্রার মধ্যে যন্ত্রপাতিরক্রমাংকণ নিশ্চিত করছে। বিকিরণ নিরোধ সেবা কার্যক্রমে অত্র গবেষণাগার বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ইহা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে একটি সংযোগ সূত্র হিসেবে কাজ করছে।  

নিম্নলিখিতভাবে অত্র গবেষনাগার এক্সটারন্যাল ও ইন্টারন্যাল ডোসিমেট্রির মান নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম সম্পাদন করছে:  

  • স্বাস্থ্য, শিল্প, কৃষি, গবেষণা ইত্যাদির বিকিরণনিয়ন্ত্রণ কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির ক্রমাংকণ ও প্রমিতকরণ করা।
  • টেলিথেরাপী (সিজিয়াম-১৩৭, কোবাল্ট-৬০), ডিপথেরাপী, এক্স-রে এবং লিনিয়ার এক্সিলারেটর আউটপুট ডোজ পরিমাপনের সঠিকতা উন্নয়ন করা।
  • অত্র গবেষণাগারের হোল বডি কাউন্টিং সিস্টেম ব্যবহার করে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ কর্মী এবং জনসাধারণের দূর্ঘটনাজনিত বিকিরণ সম্পাতপরিমাপন করা হয়।
  • স্বাস্থ্য, শিল্প, কৃষি, গবেষণাইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের বিকিরণনিয়ন্ত্রণকাজেব্যবহৃত রেডিওথেরাপী প্রযুক্তির গবেষণা ও উন্নয়ন। আইএইএ টিএলডি ইন্টার-কম্পেরিজন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ (আন্তর্জাতিক কোয়ালিটি এ্যাসুরেন্স প্রোগ্রাম)

 

 অর্জিত সাফল্য :

কেন্দ্রীয় তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণাগারঃ

উৎপন্ন তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সমূহ চূড়ান্ত নিষ্পত্তির পূর্ব পর্যন্ত নিরাপদ সংরক্ষণের লক্ষ্যে পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সাভারে কেন্দ্রীয় তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণাগার স্থাপন করা হয়েছে। ২০০৫ সাল থেকে অফিসিয়ালি এর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এবং সংরক্ষণের জন্য এটা দেশের একমাত্র স্থাপনা যা ১১৬৩ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে অবস্থিত। এই ফ্যাসিলিটিতে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বেশ কিছু আধুনিক যন্ত্রপাতিও  রয়েছে।

 

কঠিন এবং তরল তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পদ্ধতিঃ

সংগৃহীত কঠিন, তরল এবং সিল্ড্ রেডিওএ্যাকটিভ সোর্স সমূহ নিম্নোক্তভাবে ব্যবস্থাপনা করা হয়: ক) কঠিন তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সংগ্রহের পর বাছাই করে কেন্দ্রীয় তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণাগারের অন্তবর্তীকালীন স্টোরেজ রুমে রাখা হয়। যে সমস্ত কঠিন বর্জ্যের অর্ধায়ু অপেক্ষাকৃত কম সেগুলো ডিলে ডিকের জন্য সংরক্ষণ করা হয়। খ) হাসপাতাল এবং শিল্প কারখানা থেকে সংগৃহীত অপেক্ষাকৃত বেশী অর্ধায়ু রেডিওনিউক্লাইড এবং যেগুলোর তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণ বেশী সে সমস্ত সিল্ড্ রেডিওএ্যাকটিভ সোর্স সমূহ সীল্ডেড আধারে রেখে সংরক্ষণ করা হয়।

দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল , শিল্প কারখানা এবং গবেষনাগার থেকে সংগৃহীত স্পেন্ট রেডিয়াম-২২৬ নিডিল সোর্স (অর্ধায়ু= ১৬২২ বছর, তেজস্ক্রিয় মাত্রা = ৩৭ গিগা বিকিউ) কন্ডিশনিং করা হয়েছে।

  • সোর্স গুলিকে স্টেইনলেস স্টিল এর ক্যাপ্সুল এর মাঝে রেখে কন্ডিশনিং করা হয়েছে ।
  • ক্যাপসুল গুলিকে ভারী সীসার তৈরি আধারে রেখে আধার গুলিকে ২০০ লিটার এমএস ড্রামে সিমেন্ট লাইনিং দিয়ে CWPSF এ রাখা হয়েছে।

রাস -৯০৭১ প্রকল্পের আওতায় আইএইএ'র বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় সিডব্লুপিএসএফ-এর ৩-৫ প্রকারভেদ এর ডিএসআরএস  কন্ডিশনিং এর কাজ সম্পন্ন হয়েছে ।

  • প্রায় ২ কুরী মানের ৮৯ টি উৎস (উভয় গামা এবং নিউট্রন ) IAEA দ্বারা পরিকল্পিত এবং অনুমোদনকৃত ৪ টি বিশেষ ধরনের ক্যাপসুলে সংরক্ষণ করা হয়।
  • গামা উৎসের সাথে ক্যাপসুলগুলি ২ টি সিমেন্টেড ড্রামে রাখা হয়েছে এবং নিউট্রন গুলির সাথে ক্যাপসুলটি যথেষ্ট পলিথিন দিয়ে সীসার কন্টেইনারে রাখা হয়েছে এবং অবশেষে CWPSF এর অন্তর্বর্তীস্থ স্টোরেজ এলাকায় সংরক্ষণ করা হয়েছে।
  • দেশে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার  জন্য দায়ীত্তপ্রাপ্ত জাতীয় অপারেটরগন কারিগরি প্রশিক্ষণ' পেয়েছেন এবং এই ' কন্ডিশনিং অপারেশনর সময় মূল্যবান অভিজ্ঞতা  অর্জন করেছেন।

কেন্দ্রীয় তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণাগারে রক্ষিত তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের তালিকাঃ

সমগ্র দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ও অব্যবহৃত সীল্ড তেজস্ক্রিয় পদার্থ যথাযথ ব্যবস্হাপনার মাধ্যমে কেন্দ্রীয় তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণাগারের অন্তবর্তীকালীন স্টোরেজ রুমে রাখা হয়। তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ও অব্যবহৃত সীল্ড তেজস্ক্রিয় পদার্থের একটি হাল-নাগাদ তালিকা রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়। পূর্বে একটি ম্যানুয়্যাল সিস্টেমের দ্বারা তেজস্ক্রিয় পদার্থের তালিকা রক্ষণাবেক্ষণ করা হত। তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ও অব্যবহৃত সীল্ড তেজস্ক্রিয় পদার্থের নির্ভরযোগ্য এবং কার্যকর পরিচালনার জন্য আইএইএর সহযোগীতায় সম্প্রতি একটি সফ্টওয়্যার ভিত্তিক "তেজস্ক্রিয়বর্জ্য ব্যবস্থাপনা রেজিস্ট্রি (RWMR) " সিস্টেম ইনস্টল করা হয়েছে এবং কার্যকর ভাবে চলছে।

 

তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ডিসপোজাল সংক্রান্ত উন্নয়ন ও গবেষণা কার্যক্রমঃ

দেশের মধ্যে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ থেকে উত্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশিত নিম্ন ও মধ্যম স্তরের বর্জ্য (LILW) নিষ্পত্তি করার জন্য একটি উপযুক্ত সাইটের জন্য সাইট নির্বাচন প্রক্রিয়া চলছে।

সমগ্র বাংলাদেশ স্ক্রিনিংয়ের মাধ্যমে নিকটবর্তী ভুমিপৃষ্ঠদেশে নিষ্পত্তির জন্য ধারণাগত পরিকল্পনা এবং এলাকা জরিপ চলছে। কম্পিউটেশনাল কার্যক্রমগুলো বিভিন্ন ধরনের ক্যালকুলেশন কোড ( যেমন ArcGIS, এক্সপার্ট চয়েস, এএইচপি )  ব্যবহার করছে যা  একটি সম্ভাব্য নিষ্পত্তিযোগ্য স্থাপনার সাইট নির্বাচন করবে।

সম্প্রতি IAEA এর সহায়তায় AMBER-“ তেজস্ক্রিয় বর্জ্য নিষ্পত্তি মডেল” মডেলিং কোড ইনস্টল এবং চলমান করা হয়েছে। এ্যাম্বার কম্পার্টমেন্ট মডেলিং কোড ব্যবহার করে নিকটবর্তী ভুমিপৃষ্ঠদেশে নিষ্পত্তি ব্যবস্থার অভিযোজন, মডেলিং, প্রাক-অপারেশন এবং পোস্ট-ক্লোজার নিরাপত্তা মূল্যায়ন করা হচ্ছে।

সাইট এর নির্দিষ্ট পরিমাপক পরীক্ষণ ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য নিষ্পত্তির জন্য ডোজরেট মূল্যায়ন কাজে RESRAD কম্পিউটেশনাল কোড ব্যাবহৃত হচ্ছে ।

 

 অন্যান্য :

শিক্ষা-বিষয়ক কর্যক্রম/মানব-সম্পদ উন্নয়নঃ স্বাস্থ্য পদার্থ বিজ্ঞান তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট

অত্র ইউনিট দেশের উচ্চশিক্ষা উন্নীত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠান থেকে ছাত্র/গবেষকগণ তাদের গবেষণাসংক্রান্ত কার্যক্রম অত্র ইউনিটের গবেষণাগারে সম্পন্ন করছেন।অত্র বিভাগের বিজ্ঞানী গণ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় /প্রতিষ্ঠানেরছাত্র/ গবেষকগণের এম,এস-সি, এম-ফিল, এম.এস ও পিএইচডি ডিগ্রী গবেষণা তত্ত্বাবধানসহ আনুষাঙ্গিক গবেষণা সাহায্য করে পারমাণবিকবিজ্ঞানওপ্রযুক্তি বিষয়ক মানবসম্পদ উন্নয়নে অবদান রাখছেন।

 

সেবা প্রদানঃ

 স্বাস্থ্য পদার্থ বিজ্ঞান ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিটঃ বিকিরণ নিরোধ সেবা কার্যক্রম

স্বাস্থ্য পদার্থ বিজ্ঞান ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইউনিট পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন গবেষণাগারসহ দেশের বিভিন্ন বিকিরণ স্থাপনায় নিয়মিত ও জরুরী অবস্থায় এবং প্রয়োজন অনুসারে বিকিরণ নিরোধ সেবা প্রদান করে থাকে। উক্ত কাজের জন্যঅত্র ইউনিট প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি (যেমন: সার্ভেমিটার, কন্টামিনেশন মনিটর, রেডিওনিউক্লাইড ডিটেক্টর ইত্যাদি) এবং দক্ষ মানব সম্পদ দ্বারা সমৃদ্ধ। এছাড়া অত্র ইউনিট পেশাগত বিকিরণ কর্মীদের জন্য নিয়মিত বিকিরণ নিরোধ সেবাও প্রদান করে থাকে।

 

সেকেন্ডারী স্ট্যান্ডার্ড ডোসিমেট্রি কার্যক্রমঃ

  • চিকিৎসা, শিক্ষা, গবেষণা, খনিজ, শিল্পকারখানা ইত্যাদিতে তেজস্ক্রিয় বিকিরণ পরিমাপন কাজে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি সমূহের (যেমন সার্ভমিটার, পকেট ডসিমিটার, এরিয়া মনিটর, কন্টামিনেশন মনিটর ইত্যাদি) ক্রমাংকণ এবং প্রমিতকরণের কাজ  সেকন্ডারী স্ট্যান্ডার্ড ডসিমেট্রি গবেষণাগারের সুবিধাদি ব্যবহার করে সম্পন্ন করা হয়।
  • দেশের বিভিন্ন সরকারী এবং বেসরকারী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনসিস্টিউট ইত্যাদিতে ক্যান্সার চিকিৎসায় ব্যবহৃত টেলিথেরাপী, ডীপ থেরাপী, ডায়াগনস্টিক এক্স-রে, মেগা ভোল্টেজ এক্স-রে, ব্রাকিথেরাপী, ইলেকট্রন বীম ইত্যাদির ডোসিমেট্রি এবং মাননিয়ন্ত্রণ কাজ সম্পন্ন করা হয়।
  • রেডিওথেরাপী সেন্টারগুলোতে ডসিমেট্রি ও মান নিয়ন্ত্রন কাজে ব্যাবহৃত আয়োনাইজেশন চেম্বার, ইলেক্ট্রোমিটার ইত্যাদির ক্রমাংকন ও প্রমিতিকরন কাজ করা হয় ।
  • আইএইএ ও ডব্লিউ এইচ ও এর সহযোগীতায় সরকারী/বেসরকারী হাসপাতালগুলোতে অবস্থিত রেডিওথেরাপীতে প্রয়োগকৃত ডোজমাত্রার মান নিয়ন্ত্রন সেবা প্রদান করা হয়।
  • বিভিন্ন বিকিরন স্থাপনাতে কর্মরত পেশাগত বিকিরন কর্মীদের দেহাভ্যন্তরীণ বিকিরন মাত্রা হোল বডি কাউন্টিং (ডব্লিও বি সি) এর মাধ্যমে পরিমাপণ করা হয়।


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon