এ্যান্টিবায়োটিক একটি মাধ্যম, যা অনুজীবের জন্মানো এবং বৃদ্ধি প্রতিরোধের জন্য ব্যবহার করা হয়। সংশ্লেষণের সময় এ্যান্টিবায়োটিকসমূহ প্রতিরোধে সক্ষম ব্যাকটেরিয়া দ্বারা দূষিত হতে পারে। সী্মিত বিকিরণের মাধ্যমে এ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকরী একক অক্ষত থাকায় তা জীবাণুমুক্ত করা সম্ভব।বিকিরণ প্রয়োগ করা হয় নাই এমন এ্যান্টিবায়োটিকসমূহ যেমন বিটামিথাসন সোডিয়াম ফসফেট বিপি, সিপ্রোফ্লক্সাসিন-এইচসিএল-ইউএসপি ইত্যাদি্তে জীবাণুর উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়েছে এবং বিভিন্ন মাত্রার বিকিরণ প্রয়োগের মাধ্যমে এদের জীবাণুমুক্তকরণের সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়েছে।
জৈবসার জীবিত অণুজীবের সমন্বয়ে তৈরী করা হয় যা গাছের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাথমিক পুষ্টি প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে গাছের উৎপাদন বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নাইট্রোজেন সংশ্লেষণকারী অণুজীব আহরণ এবং গামা বিকিরণের মাধ্যমে তাদের মানোন্নয়ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সাভার এলাকা হতে নমুনা হিসাবে দুটি মসুর ডালের মূলের নডিউল হতে চারটি নাইট্রোজেন সংশ্লেষণকারী ব্যাকটেরিয়া আহরণ করা হয়েছে এবং বিকিরণের মাধ্যমে তাদের মানোন্নয়ন করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
অণুজীবগত মান পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে, চিংড়ির শুঁটকিতে প্রাপ্ত অণুজীবের সংখ্যা হ্রাসের ব্যাপারে বিকিরণের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে (P < 0.05)। ৫.০ কিলোগ্রে বিকিরণ প্রয়োগে ছত্রাক এবং ৭.০ কিলোগ্রে বিকিরণ প্রয়োগে ব্যাকটেরিয়া সম্পূর্ণ রূপে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে, যদিও বিকিরণের প্রভাবে প্রোটিনের পরিমান উল্লেখযোগ্য পরিমানে হ্রাস হয়েছে।
জৈবফসফরাস যৌগ সমৃদ্ধ কীটনাশক ডায়াজিনন ভাঙতে সক্ষম ৩টি ব্যাকটেরিয়া মাটি হতে আহরণ করা হয়েছে। কালচারাল, মরফোলজিকাল এবং বায়োকেমিকেল বিশ্লেষণের মাধ্যমে ব্যাকটেরিয়া ৩টিকে Pseudomonas peli, Burkholderia caryophylli and Brevundimonas diminuta হিসাবে সনাক্ত করা হয়েছে।
ক্রাস্টাশিয়ান্ এবং পোকামাকড়ের জৈব প্রতিরোধক এবং ছত্রাকের কোষপ্রাচীর হিসাবে কাইটিন পাওয়া যায়, যা একটি নাইট্রোজেন সমৃদ্ধ পলিস্যাকারাইড। কাইটিনের এন-ডিএসিটাইলেশনের মাধ্যমে কাইটোসান পাওয়া যায়। কাইটোসানের বিভিন্ন পরিমাপকের মধ্য ডিএসিটাইলেশনের মাত্রা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এ লক্ষ্যে পটেনশিওমেট্রিক টাইট্রেশন নীতির উপর ভিত্তি করে একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র উদ্ভাবন করা হয়েছে। এ্যালকালাইজেশন এবং বিভিন্ন ফিজিকাল ট্রিটমেন্টের মাধ্যমে আটটি বিভিন্ন ধরণের কাইটোসান তৈরী করা হয়েছে।
দেশের খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ছাত্রছাত্রীরা তাদের উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার জন্য এই বিভাগের বিজ্ঞানীদের সরাসরি তত্ত্বাবধানে প্রয়োজনী গবেষণা কাজ সম্পাদনের সুযোগ পেয়ে থাকে।
বিভিন্ন ওষুধ এবং খাদ্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের খাদ্য, খাদ্য সম্পূরক, পানি এবং চিকিৎসা সামগ্রী প্রভৃতি নমুনার অণুজীবগত মান পরীক্ষণের মাধ্যমে নিয়মিত সেবা প্রদান করা হয়।