Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২nd সেপ্টেম্বর ২০২৪

রসায়ন বিভাগ

সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি (Citizen's Charter)

দুদকে অভিযোগ করতে দুদকে স্থাপিত হট লাইন, ১০৬ (টোল ফ্রি)-তে কল করা যেতে পারে ।

ভূমিকা

 

রসায়ন বিভাগের বিজ্ঞানীরা সুদীর্ঘ চার দশকের অধিক সময় ধরে বিভিন্ন পদ্ধতির উন্নয়ন ও বিকাশ সাধনের মাধ্যমে বিভিন্ন নমুনায় সুক্ষ্ম-মৌল, অতিসুক্ষ্ম-মৌল (বিষাক্ত এবং প্রয়োজনীয়) এবং বিষাক্ত জৈব যৌগের বিশ্লেষণধর্মী গবেষণায় নিয়োজিত আছেন। মানবে দেহ ও পরিবেশের উপর এ সকল উপাদান ও যৌগের কি প্রভাব তা জানার লক্ষ্যে বর্তমান বিশ্বে গবেষণা কার্যক্রম প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায়, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রসায়ন শাস্ত্রের সুনির্দিষ্ট কিছু শাখা যেমন পরিবেশ দূষণ, খাদ্য দুষণ, মানব স্বাস্থ্য, পুষ্টি, দূষণ-প্রতিক্রিয়া, মৌল বিশ্লেষণে নিউক্লিয়ার এনালাইটিক্যাল কৌশল এবং শিল্পে ট্রেসার টেকনোলজির ব্যবহার প্রভৃতিতে রসায়ন বিভাগের গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়াও রসায়ন বিভাগ সমন্বিত গবেষণা কার্য্যক্রমের অংশ হিসেবে বিশেষ মঞ্জুরী কর্মসূচী এর আওতায় আই.এইএ/আরসিএ কাঠামো অনুযায়ী বিভিন্ন গবেষণামূলক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করে থাকে।

 

লক্ষ্য/ উদ্দেশ্য

এই বিভাগের উদ্দেশ্য হল গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমের মাধ্যমে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখা। উল্লেখযোগ্য গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম গুলি হলোঃ

  • মৌলের সামান্যতম অংশ পরিমাপের জন্য নিউক্লিয়ার এবং নন-নিউক্লিয়ার কৌশলের উন্নতি সাধন ও প্রতিষ্ঠাকরণ।।
  • বাংলাদেশের বায়ুর গুনগত অবস্থা নিরূপণের মাধ্যমে আঞ্চলিক বায়ুদূষণ পর্যালোচনা করা। 
  •  ক্ষতিকর বিষাক্ত মৌল সমূহের দ্বারা খাদ্য দ্রব্য দূষণের কারণে সম্ভাব্য স্বাস্থ্য ঝুঁকি পর্যালোচনা।
  • বেস লাইন ডাটা তৈরির লক্ষ্যে রূপপুর পারমানবিক বিদুৎ প্রকল্প এলাকার পরিবেশগত বিভিন্ন পদার্থ যেমন মাটি, পানি, নদীর তলানী, মাছ, জলজ উদ্ভিদ ও শাকসবজি পর্যালোচনা এবং নিয়মিত পর্যবেক্ষন করা।
  • মানব স্বাস্থ্যে ধাতব মৌলের ভূমিকা এবং বিভিন্ন ধরণের রোগের সাথে এদের আন্তসম্পর্কীয় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা। 
  • পুষ্টিগুণ, বিষক্রিয়া যাচাই এবং রোগ নির্ণয়ের জন্য মানব দেহের বিভিন্ন অংশ যেমন রক্ত, রক্তরস, টিস্যু, চুল ও নখ ইত্যাদিতে বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ও ক্ষতি কারক মৌলের পরিমাণগত বিশ্লেষণ।
  • খাদ্যে বিষক্রিয়া সর্ম্পকে জন সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরণের খাদ্যদ্রব্যে দূষকের পরিমাণ নির্ণয় এবং বিশ্লেষনীয় ফলাফল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিতকরণ।
  •  ন্যানো মেটারিয়াল এবং স্বল্প মূল্যের শোষক ব্যবহার করে পরিবেশ থেকে ক্ষতিকর মৌল অপসারণ।
  • সামুদ্রিক পরিবেশ বিশেষ করে সমুদ্রের অম্লতা বৃদ্ধির উপর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সংক্রান্ত গবেষণা।
  • সামুদ্রিক ইকো সিস্টেমের উপর প্রাকৃতিক ও মানব কর্মকান্ডের প্রভাব যাচাই করণ
  • শিল্পে ট্রেসার টেকনোলজির ব্যবহার।
  • পরিবেশগত এবং প্রাণীর নমুনায় ক্ষতিকর জৈব যৌগের অনুসন্ধান করা।
  • সেচ করার জন্য তরল বর্জ্যের উপযোগিতা যাচাই করণ।

কার্যক্রম:

গবেষণা কার্যক্রম:

 

বায়ুমণ্ডলীয় এবং বায়ুদূষন বিষয়ক রসায়ন
  • বায়ু কণা (PM2.5 এবং PM10) পদার্থের ঘনত্ব, গঠন পরিমাপ এবং বিশ্লেষণ নিয়ে গবেষণা করা ।
  • রিসেপ্টর মডেলিং এবং আইসোটোপিক বিশ্লেষণের মত কৌশলগুলি ব্যবহার করে বায়ু দূষণের উৎসগুলি সনাক্ত করন এবং পরিমাপ  নিয়ে গবেষণা করা ।
  • অভ্যন্তরীণ এবং আন্তঃসীমানার  বায়ুতে দূষণের মাত্রা এবং উৎস নিরূপণ এবং মানব স্বাস্থ্যে প্রভাবগুলি অনুসন্ধান নিয়ে গবেষণা করা।
  • বিভিন্ন আবহাওয়া সংক্রান্ত অবস্থার অধীনে দূষণকারী বিচ্ছুরণ, রূপান্তর এবং জমার পূর্বাভাস দিতে বায়ু মানের মডেলগুলি বিকাশ এবং যাচাই করা নিয়ে গবেষণা করা ।
  • কার্বন ডাই অক্সাইড, মিথেন এবং নাইট্রাস অক্সাইডের মতো গ্রিনহাউস গ্যাসের ঘনত্ব পরিমাপ করা এবং তাদের উৎস অনুসন্ধান নিয়ে গবেষণা করা ।
  • শিশু এবং বয়স্কদের মত দুর্বল জনগোষ্ঠীকে গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন বায়ু দূষকের দ্বারা স্বাস্থ্য ঝুকি  অনুসন্ধান করে  মহামারী সংক্রান্ত গবেষণা পরিচালনা করা ।
  • ঢাকার Residential, Semi-Residential ও  Industrial site   হতে সংগৃহীত নমুনায় Sound Level এর মাত্রা নিরূপণ  এবং Model development এর মাধ্যমে Sound Level এর মাত্রা নিরুপণ ও মানবদেহের উপর এর ক্ষতিকর প্রভাব মূল্যয়ণের জন্য পরিকল্পনা প্রনয়ন ও দিক নির্দেশনা প্রদান করা

 

জলবিদ্যা এবং জলের গুণমান বিষয়ক রসায়ন

 

<>ooooo
  • পরিবেশের বিভিন্ন প্রকার পানির গুণগত মান নির্ণয়, পানি পানের  ও চাষাবাদের উপযোগিতা যাচাইকরণ , পানিতে  ক্ষতিকারক এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও পরিমান নির্ণয় ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা

 

নিউক্লিও-বিশ্লেষণ মূলক রসায়ন

 

  • বিভিন্ন পরিবেশগত নমুনা (যেমন- মাটি, ধূলিকণা, পানি, নদী বা সমূদ্রের তলানী, উদ্ভিজ্য দ্রব্য ইত্যাদি),খাদ্য দ্রব্যে (যেমন- মাছ, মাংস, দুধ, ডিম, সবজি, ফল ইত্যাদি)  ও হিউম্যান বডি টিস্যু নমুনায় (মাথার চুল, নখ, রক্ত ইত্যাদি)  ভারী ধাতু, ক্ষতিকারক মৌল ও অন্যান্য উদিয়মান দূষকের ( সম্ভাব্য ক্ষেত্রে মাইক্রোপ্লাস্টিক, ডিসল্বড ওরগানিক ম্যাটার (DOM), স্টেবল আইসোটপ) উপস্থিতি ও পরিমাণ নিরুপণ  ।
  • রোগ নির্ণয়ে সরবরাহকৃত নমুনায় (মাথার চুল, নখ, রক্ত ইত্যাদি)   সুক্ষ্ম/ভারী  মৌলের বিশ্লেষণ ।
  •  ভৌত রাসায়নিক ও ভূ-রাসায়নিক পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশের পানীয় জলের গুণগত মান পরীক্ষা করা।
  • খাদ্য দ্রব্যে দূষণ মাত্রা নির্ণয়ের মাধ্যমে  স্বাস্থ্য ঝুকি ও পরিবেশগত নমুনায় দূষণ মাত্রা নির্ণয়ের মাধ্যমে বাস্তুশাস্ত্রের ঝুকি পর্যালোচনা।
  • দেশের বিভিন্ন নদী সমূহের দূষণ মাত্রা নির্ণয়ের মাধ্যমে বর্তমান অবস্থা পর্যালোচনা।
  • নির্ধ্ধংর্সী প্রক্রিয়ায় স্বর্ন, রৌপ্য ও অন্যান্য ধাতব পদার্থে তৈরীকৃত বস্তুতে ( archaeological objects) মৌলের  উপস্হিতি ও পরিমান নির্ণয়ের মাধ্যমে-এর  বিশুদ্ধতা, উৎপাদনের সময়কাল নিরূপণ।
  • কলকারখানা থেকে নির্গত তরল বর্জ কৃষিজ সেচ কাজে ব্যাবহারের সম্ভাব্যতা যাচাইকরন।

 

বিশ্লেষণীয় ও পরিবেশ সম্পর্কিত রসায়ন

  • ভেলিডেটেড এবং এক্রিডেটেড পরীক্ষণ পদ্ধতি ব্যবহার করে খাদ্য, পানি, পরিবেশগত ও জৈব নমুনায় প্রয়োজনীয় ও ক্ষতি কারক মৌলের পরিমাণ নির্ণয়, রোগ নির্ণয়ের উদ্দেশ্যৈ মানব-মুত্র, রক্তের জলীয় অংশ, চুল, নখ ইত্যাদি নমুনায় ভারী মৌলের উপস্থিতি ও পরিমাণ নির্ণয়
  • পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান (যেমন পানি, মাটি, সেডিমেন্ট, ধূলিকণা ইত্যাদি) এবং খাদ্য উপাদান (যেমন মাছ, খাবার পানি, সবজি, মাংস, ডিম, দুধ, ফলমূল ইত্যাদি)-এ মাইক্রো প্লাস্টিক এবং উদীয়মান দূষকগুলির জন্য সমন্বিত পর্যবেক্ষণ করা এবং এসব দূষণ দূরীকরণের উপায় উদ্ভাবন করা।
  •  ন্যানো মেটেরিয়ালের সংশ্লেষণ এবং পরিবেশে বিভিন্ন ধরণের দূষক দূরীকরণে এদের ব্যবহার
  • বিভিন্ন ধরনের মানব খাদ্যে ভারী ধাতুর পরিমান নির্ণয় এবং মানব স্বাস্থ্যেও উপর এর প্রভাব পর্যবেক্ষণ
  • পরিবেশগত ও জৈব নমুনায় অতি সুক্ষমাত্রায় তেজষ্ক্রিয় মৌলসহ অন্যান্য ভারী ধাতুর উপস্থিতি ও পরিবেশের উপর এদের প্রভাব নির্ণয়
  • জলীয় নমুনায় বিভিন্ন আয়নিক ও ফিজিক্যাল প্যারামিটার বিশ্লেষণ।

জৈব রসায়ন

  • পরিবেশ গত নমুনায় বহু চক্রীয় সুগন্ধি হাইড্রো কার্বন ও খনিজ হাইড্রো কার্বনের বিশ্লেষণ (যেমনঃ মাটি, পানি, শাকসবজি ইত্যাদি) 
  •  পরিবেশ গত ও প্রাণীজ নমুনায় ফেনল ও ফেনল জাতক বিশ্লেষণ
  • পরিবেশ গত নমুনা পানিতে এন্টিবায়োটিকের (সেফালোসপরিন ও পেনিসিলিন) বিশ্লেষণ।
  • পরিবেশ গত নমুনায় কিছু ক্লোরো-যৌগের এবং প্রকৃতিগত পন্যে প্রয়োজনীয় তৈলের বিশ্লেষণ।
  • ঔষধি উদ্ভিদ হতে উদ্ভিজ্য রাসায়ানিক পদার্থ বিশ্লষণ, সনাক্তকরণ, ও উপযোগিতা যাচাইকরন
  • জৈব দূষণ নিরসণে উদ্ভি হতে সংশ্লষিত মেটাল ন্যানোপার্টিকের ব্যাবহার।
  • পরিবেশ দূষণ নিরসণে বায়ো অজৈব ন্যানো পার্টিক্যাল উদ্ভাবন, বৈশিষ্ট বিশ্লেষণ ও এর উপযোগিতা যাচাইকরন।
  • রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল ও একটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট তৈরীতে সক্ষমতা অর্জন শীর্ষক গবেষণা।

সেবা প্রদানঃ

রসায়ন বিভাগ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, শিল্প, এনজিও, হাসপাতাল, ক্লিনিক, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠান হতে সরবরাহকৃত নমুনা বিশ্লেষণের মাধ্যমে নিয়মিত ভাবে  সেবা প্রদান করে থাকে। রসায়ন বিভাগে সেবার গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে প্রধানতঃ নিম্নোক্ত বিষয়ের উপর সেবা প্রদান করা হয় ঃ

  •  স্বর্ণ ও রৌপ্য পদক/ক্রেষ্ট এবং অলংকারের খাঁটিত্ব পরীক্ষা।
  •  রোগ নির্ণয়ে মূত্রে কপার, মানব চুলে আর্সেনিক, রক্তের জলীয় অংশে কপার ও জিংক, রক্তে সীসা এবং নখে সেলিনিয়াম নির্ণয়। 
  • খাদ্যদ্রব্য,পরিবেশগত ও প্রাণীজ নমুনা এবং চিকিৎসার্থে সরবরাহকৃত নমুনায় বিভিন্ন মৌলের নূন্যতম উপস্থিতির পরিমাপ।
  • পানির বিভিন্ন ভৌত ও রাসায়নিক সূচক নির্ণয়।
  •  পানিতে আর্সেনিক, বিষাক্ত উপাদান এবং জীবাণুশক ব্যবহারের ফলে সৃষ্ট উপজাত নির্ণয়।
  •  খাদ্য দ্রব্য, রপ্তানিযোগ্য এবং আমদানীকৃত মিঠা পানির মাছ ও চিংড়িতে ভারী মৌল নির্ণয়।
  •  শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামাল এবং শিল্পজাত পন্য যেমনঃ ঔষধ, অকটেন বুস্টার, সার, প্লাস্টিক দ্রব্যাদি, স্লাজ,ইস্ট পাউডার, পশুখাদ্য, পোল্ট্রি ফিড ইত্যাদিতে, ভারী মৌলের উপস্থিতি নির্ণয়।
  •  ফেসিয়াল ক্রিমে  মারকারি নির্ণয়।
  • পানিতে ফেনল এবং ফেনলজাত যৌগ নির্ণয় ।
  •  পানি ও মাছে বিষাক্ত বহুচক্রীয় সুগন্ধি জৈব যৌগ যেমন এনথ্রাসিন, পাইরিন, ফ্লুরিন ও বেনজো-পাইরিন ইত্যাদি। 
  • প্রকৃতিগত বিভিন্ন পণ্যের জৈব বিশ্লেষণ। 
  •  শিল্প এলাকার বায়ূতে পার্টিকুলেট ম্যাটার, লেড, আর্সেনিক ও এসিড মিস্ট পরিমান নির্ণয়।

শিক্ষা-বিষয়ক কার্যক্রমঃ

বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে রসায়ন বিভাগের সহযোগিতা মূলক কর্মসূচীর সুন্দর ধারাবাহিকতা বিদ্যমান রয়েছে। রসায়ন বিভাগের নিজস্ব গবেষণা সুবিধা এবং তত্ত্বাধায়নে এসব বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীরা তাদের এম.এসসি/এম.ফিল/ এম.ডি/ পি-এইচ.ডি/এফ.সি.পি ইত্যাদি ডিগ্রির জন্য গবেষণা করে থাকেন।

 

অর্জিত সাফল্য

  • এই বিভাগের এনাল্যাইটিক্যাল কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরি ২০১৫ সনে Acreditation Certificate অর্জন করেছে যার ফলে এ ল্যাবের এনালাইসিস রির্পোট আন্তর্জাতিক ভাবে গ্রহণ যোগ্যতা পাবার সক্ষমতা অর্জন করেছে।
  • এনাল্যাইটিক্যাল কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরি বাংলাদেশের একমাত্র ল্যাবরেটরি যেখানে উইলসন রোগ নির্ণয়ের Diagnosis সেবা প্রদান করা হয়।
  •  এনাল্যাইটিক্যাল কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীগণ এপ্রিল ২০১৭ সালে সুনামগঞ্জ জেলার হাওড় এলাকার জলজ প্রাণির ব্যাপক প্রাণনাশের কারণ তেজষ্ক্রিয় মৌলসহ অন্যান্য ক্ষতিকর মৌলের উপস্থিতি জনিত কারণে নয়, তা নিশ্চিত করেন।
  • দেশের রপ্তানীযোগ্য মৎস ও মৎস্য পণ্যের QA/QC  সনদ এনাল্যাইটিক্যাল কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরি থেকে প্রদান করা হয়ে থাকে।
  • এনাল্যাইটিক্যাল কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীগণ আমদানীকৃত সর্বাধিক ভোগ্য কিছু প্রজাতির মাছের মধ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ভারী ধাতব মৌলের অতি মাত্রার উপস্থিতি ও পরিমাণ নির্ণয় পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
  •  উইলসন রোগ নির্ণয়ে সনাতন পদ্ধতির পরিবর্তে এনাল্যাইটিক্যাল কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীগণ একটি বিকল্প পদ্ধতি উদ্ভাবন করেন যার মাধ্যমে আরও সঠিক, দ্রুত ও তাৎক্ষণিকভাবে রোগ নির্ণয় সম্ভব হবে। 
  •  এনাল্যাইটিক্যাল কেমিস্ট্রি ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীগণ Rapid Action Battalian (RAB) কর্তৃক প্রেরিত কিছু ফেয়ারনেস ক্রীমে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী পারদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেন যার ফলে সরকার সে সব ফেয়ারনেস ক্রীম বাজারজাত করা নিষিদ্ধ করেন।
  •  Atmospheric and Environment Chemistry  ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীগণ স্বর্ণ ও রৌপ্য পদকের খাঁটিত্ব পরীক্ষাটি Non-destructive Nuclear Method ব্যবহার করে প্রায় ৪০ বৎসর যাবৎ করে আসছে। 
  • মানবদেহের মাথার চুলে আর্সেনিকের মাত্রা নির্ণয়ের মাধ্যমে ‘আর্সেনোকোসিস’  রোগের Diagnosis  শুধুমাত্র Atmospheric and Environment Chemistry ল্যাবরেটরি হয়ে থাকে।
  • Atmospheric and Environment Chemistry ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীবৃন্দ স্বর্ণ ও রৌপ্যপদকে খাঁটিত্ব নির্ণয়ে বিশ্বস্ততা অর্জন করেছে যার ফলশ্রূতিতে ‘ইন্দিরা গান্ধী স্বাধীনতা সম্মামনা ক্রেষ্ট’, মুক্তিযুদ্ধ সম্মামনা ক্রেষ্ট’, মুক্তিযুদ্ধ সম্মান ক্রেষ্ট ২০১৭ এই গবেষণাগারেই পরীক্ষা করা হয়।
  •  রূপপুর পারমানবিক চুল্লী প্রকল্প এলাকার মাটি, নদীর তলানী, নদীর পানি, ভূ-গর্ভস্থ পানি, শাকসব্জি এবং মাছের নমুনার Base-line data তৈরী এই বিভাগের ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীগণ গবেষণার দ্বারা প্রণয়ন করেন।
  •  বায়ুতে বিদ্যমান বস্তুকনা এবং এর উৎস নিরূপণ এ বিভাগের একমাত্র Air Particulate Research Laboratory-তে হয়ে থাকে।
  • ভূ-গর্ভস্থ  পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি এ বিভাগের বিজ্ঞানীবৃন্দ সর্বপ্রথম পর্যবেক্ষন করেন।
  • Atmospheric and Environment Chemistry ল্যাবরেটরির বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম বাতাসে সীসার উপস্থিতি নিরূপন করেন যার ফলস্রুতিতে বর্তমানে Unleaded Gasoline আমদানি হচ্ছে।
  •  এ বিভাগের বিজ্ঞানীরা সর্বপ্রথম বাতাসে অতিরিক্ত বস্তুকণা ও কালো কার্বনের উপস্থিতি নিরূপন করেন যার ফলস্রুতিতে মোটরযানে CNG ব্যবহার হচ্ছে।
  • “মানবদেহের (অল্প বয়স্ক) রক্তের নমুনায় মাত্রাতিক্ত সীসার সাথে অটিজমের সম্পৃক্ততা” Atmospheric and Environment Chemistry ল্যাবরেটরির একটা বিরাট সাফল্যময় গবেষণা।
  • চিটাগাং মেট্রোপলিটন পুলিশ হতে প্রেরিত “ঘন চিনির” নমুনায় জৈব রসায়ন গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা ক্যান্সার সৃষ্টিকারী সোডিয়াম সাইক্লামেটের উপস্থিাত নির্ণয় সংক্রান্ত গবেষণা করেন।
  •  গুড়া দুধের নমুনা পর্যবেক্ষনের মাধ্যমে ম্যালামাইন এবং লেডের উপস্থিতি এর পরিমান নির্ধারন।
  • ২০২১ সালে কোভিড ১৯ মহামারীকালীন জরূরী সেবা প্রদানে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ বিশেষ সম্মাননা স্মারক অর্জন।