বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
ব্লক-ডি, ৮-১১ তলা, শাহবাগ, ঢাকা ১০০০।
ফোন: +৮৮-০২-৯৬৭৫৪৮৭, ই-মেইল : ninmas.baec@gmail.com
আমাদের সম্পর্কে
নিউক্লিয়ার টেকনোলজী ব্যবহার করে মানুষকে বিশেষায়িত চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ১৯৮০ সালে ইনস্টিটিউট অব্ পোষ্ট গ্র্যাজুয়েট এন্ড রিসার্চ (আইপিজিএমআর) এর “ব্লক এ” তে ‘ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন ’ প্রথম স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে “পরমাণু চিকিৎসা ইনস্টিটিউট ঢাকার জন্য ভবন নির্মাণ ও আধুনিকীকরণ ” শীর্ষক প্রকল্পের মাধ্যমে এটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ডি’-ব্লক এর ১৮ তলা ভবনের ৮ম তলা হতে ১১তম তলা পর্যন্ত প্রায় ৬০,০০০ বর্গফুট আয়তন জুড়ে স্থানান্তরিত হয়। সম্প্রতি এটির নতুন নামকরণ করা হয় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব্ নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস। ২০১৫-২০১৭ সালে এটি “আপগ্রেডিং এন্ড স্ট্রেন্দেনিং দি ফ্যাসিলিটিস অ্যাট ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস” শীর্ষক এডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় মুদ্রায় ক্রয়কৃত ১০৮টি ও বৈদেশিক মুদ্রায় ক্রয়কৃত ১৩টি অত্যাধুনিক ও উন্নত যন্ত্র স্থাপন সহ আধুনিক ডিজিটালাইজড টোকেন সিস্টেম এবং ভবনের কক্ষ সমূহ সংস্কারের মাধ্যমে নিনমাস আধুনিক রূপ লাভ করেছে। সর্বাধুনিক পেট-সিটি, সিঙ্গেল ও ডাবল স্পেক্ট গামা ক্যামেরা সংযোজিত ইনস্টিটিউটটি বর্তমানে অনকোলজি, কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, এবং সেরিব্রাল স্ক্যানিং এর মত আধুনিক পরীক্ষা করতে সক্ষম।“পেট-সিটি এন্ড সাইক্লোট্রন” স্থাপন প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে দুইটি পেট-সিটি স্থাপিত হয়েছে। যার মাধ্যমে প্রচুর রোগী বিশেষত ক্যান্সার আক্রান্ত রোগীকে ক্যান্সার সনাক্তকরণের মাধ্যমে পরবর্তী চিকিৎসার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়া উক্ত প্রকল্পের অধীনে একটি Cyclotron বিএসএমএমইউ এর চত্বরে স্থাপিত হয়েছে। যার মাধ্যমে PET-CT পরীক্ষায় ব্যবহৃত PET tracer 18F-FDG উৎপাদন করা হয় ।
আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (নিনমাস) বাংলাদেশের পরমাণু চিকিৎসায় একটি অনন্য প্রতিষ্ঠান, যা রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং গবেষণায় পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে। এর মূল লক্ষ্য হলো প্রচলিত রেডিওআইসোটোপ ও রেডিওফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবহার করে ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগ নির্ণয় ও থেরাপির মাধ্যমে চিকিৎসা প্রদান করা, সাইক্লোট্রন এর মাধ্যমে নতুন নতুন রেডিওআইসোটোপ এবং রেডিওফার্মাসিউটিক্যালস উদ্ভাবন ও প্রচলন করা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরমাণু চিকিৎসায় দক্ষ জনবল তৈরি করা, বিভিন্ন দেশি ও আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কোলাবরেশন করে পরমাণু চিকিৎসায় নতুন জ্ঞান তৈরি ও সেবা নিশ্চিত করা। এটি রোগ নির্ণয়ের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি এবং গবেষণার মাধ্যমে চিকিৎসা ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
১. উন্নত নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেবা প্রদান
- সাইক্লোট্রন, পেট-সিটি, গামা ক্যামেরা, স্পেক্ট-সিটি, থাইরয়েড আপটেক এবং থাইরয়েড স্ক্যান সহ উন্নত নিউক্লিয়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগ নির্ণয় ও কার্যকর চিকিৎসা প্রদান।
- নিরাপত্তা ও মানের আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে সময়োপযোগী ও খরচ সাশ্রয়ী ডায়াগনস্টিক ইমেজিং এবং থেরাপিউটিক সমাধান প্রদান।
২. নতুন রেডিওআইসোটোপ উদ্ভাবন, প্রবর্তন এবং প্রচার
- সাইক্লোট্রন এবং জেনারেটরের মাধ্যমে নতুন উদ্ভাবনী রেডিওআইসোটোপ, রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল এবং থেরানস্টিক আইসোটোপ তৈরি এবং প্রবর্তন।
- ক্যান্সার এবং অন্যান্য জটিল রোগের চিকিৎসা ও থেরাপির উন্নতির জন্য বৈশ্বিক অগ্রগতির সাথে সামঞ্জস্য করা।
৩. হরমোনাল বিশ্লেষণ সক্ষমতা বাড়ানো
- উন্নত RIA (রেডিওইমিউনোঅ্যাসে), IRMA (ইমিউনোরেডিওমেট্রিক অ্যাসে), এবং CLIA (কেমিলুমিনেসেন্ট ইমিউনোঅ্যাসে) প্রযুক্তি ব্যবহার করে রক্তে বিভিন্ন হরমোনের সঠিক পরিমাণ নির্ধারণ।
৪. উন্নত আল্ট্রাসাউন্ড সেবা প্রদান
- 4D এবং কালার ডপলার সহ উন্নত আল্ট্রাসাউন্ড প্রযুক্তি ব্যবহারে নেতৃত্ব প্রদান করে জটিল ডায়াগনস্টিক ইমেজিং সেবা প্রদান।
- বাংলাদেশে প্রথম আল্ট্রাসাউন্ড মেশিন প্রবর্তনের জন্য NINMAS-এর ঐতিহ্যের উপর ভিত্তি করে কাজ করা।
৫. নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেবার প্রসার
- সারাদেশে বিস্তৃত নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেবা নিশ্চিত করতে নতুন সুবিধা স্থাপন এবং বিদ্যমান সুবিধা উন্নত করা।
- নিউক্লিয়ার মেডিসিনকে বৃহত্তর স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার সাথে একীভূত করতে স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতা।
৬. রেডিয়েশন সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
- রোগী, কর্মী এবং পরিবেশকে নিউক্লিয়ার প্রযুক্তির ঝুঁকি থেকে রক্ষা করতে কঠোর রেডিয়েশন পর্যবেক্ষণ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োগ।
- রেডিয়েশন সুরক্ষা সম্পর্কিত জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিধিনিষেধ মেনে চলা।
৭. উদ্ভাবনী গবেষণা ও জ্ঞান অর্জন সহজতর করা
- IAEA-সহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের সাথে সহযোগিতায় নিউক্লিয়ার মেডিসিন, রেডিওফার্মেসি, রেডিওবায়োলজি এবং সম্পর্কিত ক্ষেত্রে উদ্ভাবনী গবেষণা পরিচালনা।
- উদীয়মান স্বাস্থ্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য নতুন ডায়াগনস্টিক এবং থেরাপিউটিক প্রযুক্তি অনুসন্ধান।
৮. শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের উৎকর্ষতা অর্জন
- বিএসএমএমইউ-এর অধীনে এমডি প্রোগ্রামের মাধ্যমে বিশেষায়িত নিউক্লিয়ার মেডিসিন চিকিৎসক তৈরি।
- নিউক্লিয়ার মেডিসিনে চিকিৎসক, প্রকৌশলী, পদার্থবিদ, রসায়নবিদ এবং ফার্মাসিস্টদের জন্য প্রশিক্ষণ কোর্স প্রদান।
- বিএসএমএমইউ এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের থিসিস তত্ত্বাবধান এবং সাইক্লোট্রন পরিচালনা, সংশ্লেষণ এবং গুণমান নিয়ন্ত্রণে দক্ষ অপারেটর প্রশিক্ষণ।
- কর্মশালা, সেমিনার এবং একাডেমিক প্রোগ্রাম আয়োজন করে নিউক্লিয়ার মেডিসিনে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দক্ষতা অর্জন।
৯. স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিশ্চিত করা
- রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল উৎপাদন ও বিক্রয়, প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম এবং সেবার মাধ্যমে রাজস্ব উৎপাদন করে আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা।
- প্রতিষ্ঠানটির প্রবৃদ্ধি ও উদ্ভাবনকে সমর্থন করার জন্য সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার এবং ব্যয় ব্যবস্থাপনা।
১০. জনস্বাস্থ্য ও ক্যান্সার ব্যবস্থাপনা উন্নত করা
- ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মতো রোগের প্রাথমিক নির্ণয়, চিকিৎসা পরিকল্পনা এবং পর্যবেক্ষণে মনোযোগ প্রদান।
- চিকিৎসার ফলাফল এবং রোগীর উন্নত চিকিৎসার জন্য পার্সোনালাইজড বা প্রিসিশন থেরাপি প্রবর্তন।
চলমান গবেষণা ও উন্নয়ন
১. থাইরয়েড ক্যান্সারের গবেষণা
- থাইরয়েড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে জিনোম সিকোয়েন্সিং এবং বায়োমার্কার গবেষণার মাধ্যমে রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার নতুন পদ্ধতি উদ্ভাবন।
- এই গবেষণা থাইরয়েড ক্যান্সার চিকিৎসায় বিশেষ অবদান রাখছে এবং রোগের নির্ণয়ে নির্ভুলতা বাড়াচ্ছে।
২. নিউরোলজিক্যাল গবেষণা
- অ্যালঝাইমার এবং নিউরোসাইকিয়াট্রিক লুপাসের উন্নত ইমেজিং পদ্ধতি উদ্ভাবন।
- ভিটামিন ডি এর অভাব এবং নিউরোলজিক্যাল সমস্যার সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা।
৩. জন্মগত রোগের গবেষণা
- বংলাদেশে জন্মগত রোগ এর উপস্থিতি নিয়ে গবেষণা করে বেশি প্রাদুর্ভাবযুক্ত রোগগুলো নির্ধারণ।
- জন্মগত রোগ এর স্ক্রিনিং চালু করার জন্য Disability Adjusted Life Year (DALY) বের করে স্বাস্থ্যখাতে এর ভূমিকা নির্ধারণ করা।
৪. পরমাণু প্রযুক্তি উন্নয়ন
- নতুন নতুন রেডিওআইসোটোপ উৎপাদন যেমন [¹¹C]Methionine, [¹¹C]Choline, [¹⁸F]PSMA, [¹⁸F]NaF ইত্যাদি
- উন্নত সাইক্লোট্রন প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই রেডিওফার্মাসিউটিক্যালস উৎপাদন চিকিৎসা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনছে।
- বাংলাদেশে 99m Tc -PSMA এর ব্যবহার শুরু করা।
৫. রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল বিতরণ যন্ত্রের উন্নয়ন
- সাইক্লোট্রোন থেকে উৎপাদিত রেডিওফার্মাসিউটিক্যালস বিতরণের জন্য আগের ব্যবহৃত CLIO যন্ত্রের পরিবর্তে আরও কার্যকর এবং কম ব্যয়বহুল একটি নতুন যন্ত্র উন্নয়নের কাজ করছে।
- এটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে খরচ কমানোর পাশাপাশি কার্যকারিতা বৃদ্ধি করবে।
৬. জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাব স্থাপন
- আন্তর্জাতিক মানের জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাব স্থাপনের একটি প্রকল্প চলমান রয়েছে।
- এই ল্যাবটি ভবিষ্যতে জটিল রোগের বায়োমার্কার গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
৭. সাইক্লোট্রন সম্পর্কিত গবেষণা
- বিভিন্ন অপারেশনাল প্যারামিটার পরিবর্তনের মাধ্যমে অপটিমাল প্রোডাকশন
- ভল্ট রুমের কংক্রিটের তেজস্ক্রিয়তা নির্নয়।
- এনভাইরনমেন্টাল রেডিয়েশন মনিটরিং।
- ভল্টরুমের নিউট্রন ফ্লাক্স নিয়ে গবেষণা।
৮. আন্তবিভাগীয় গবেষণা
- চিকিৎসা প্রযুক্তিতে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার
- ট্রান্সলেশনাল ক্যান্সার রিসার্চ শুরু করা।
৯. আন্তর্জাতিক সহযোগিতা
- IAEA এর সহায়তায় বিভিন্ন PET এবং SPECT রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল ট্রেসার ব্যবহারের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্যান্সার এবং নন ক্যান্সারাস রোগ নির্নয়ে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা।
প্রদত্ত সেবা
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস (নিনমাস) পরমাণু চিকিৎসায় উন্নত ডায়াগনস্টিক, থেরাপিউটিক এবং প্রশিক্ষণ সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে একটি শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান।
১. ডায়াগনস্টিক সেবা
ইমেজিং প্রযুক্তি:
- PET-CT এবং SPECT-CT: ক্যান্সার, স্নায়বিক ব্যাধি (ডিমেনশিয়া, মৃগী) এবং প্রদাহজনিত অবস্থার (যেমন ভাসকুলাইটিস) নির্ণয়ের জন্য।
- আল্ট্রাসাউন্ড এবং ডপলার স্টাডি: 3D/4D ইমেজিং সহ ভ্রূণের ত্রুটি, ভাস্কুলার রোগ এবং অঙ্গের মূল্যায়নের জন্য।
- বোন মিনারেল ডেনসিটি (BMD): অস্টিওপোরোসিস এবং সংশ্লিষ্ট অবস্থার নির্ণয়ের জন্য।
- থাইরয়েড পরীক্ষা: থাইরয়েড আপটেক এবং থাইরয়েড স্ক্যান।
বিশেষায়িত নিউক্লিয়ার মেডিসিন পরীক্ষা:
- রেনাল স্ক্যান: ডিটিপিএ রেনোগ্রাম, ডিএমএসএ স্ক্যান এবং জিএফআর পরিমাপ।
- কার্ডিয়াক স্টাডি: মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন ইমেজিং (MPI), FDG কার্ডিয়াক PET, এবং মুগা স্ক্যান।
- জিআই ইমেজিং: মিকেলস ডাইভারটিকুলাম স্ক্যান, গ্যাস্ট্রিক এম্পটিং স্টাডি, এবং হেপাটোবিলিয়ারি ইমেজিং।
- লাং ইমেজিং: ⁹⁹mTc-MAA ব্যবহার করে পারফিউশন এবং ভেন্টিলেশন স্ক্যান।
- লিম্ফোসিন্টিগ্রাফি: লিম্ফ্যাটিক ড্রেনেজ এবং বাধার মূল্যায়নের জন্য।
- ব্রেইন ইমেজিং: সেরিব্রোভাসকুলার রোগ, টিউমার এবং ডিমেনশিয়ার জন্য SPECT ব্রেইন পারফিউশন।
২. থেরাপিউটিক সেবা
রেডিওআইডিন (131I) থেরাপি:
- হাইপারথাইরয়েডিজম এবং থাইরয়েড ক্যান্সারের জন্য, আজীবন ফলো-আপ সহ।
রেডিওথেরাপি:
- স্ট্রনশিয়াম-৯০ (⁹⁰Sr): টেরিজিয়াম এবং চোখ-সংক্রান্ত ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য।
৩. সাইক্লোট্রন এবং রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল সেবা
- PET-CT ইমেজিংয়ের জন্য [18F]FDG উৎপাদন।
- 13N, 11C এবং 15O এর মতো অতিরিক্ত আইসোটোপ উৎপাদনের পরিকল্পনা।
৪. নিরাপত্তা এবং গুণগত মান নিশ্চিতকরণ
- রেডিয়েশন নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা এবং রেডিওঅ্যাকটিভ বর্জ্য পরিচালনা।
- নিউক্লিয়ার মেডিসিন যন্ত্রপাতির জন্য নিয়মিত গুণমান নিয়ন্ত্রণ এবং ডোজিমেট্রি।
নিনমাস আধুনিক প্রযুক্তি এবং দক্ষতার সমন্বয়ে পরমাণু চিকিৎসায় বিস্তৃত স্বাস্থ্যসেবা এবং পেশাগত প্রশিক্ষণ প্রদান করে, যা বাংলাদেশে পরমাণু চিকিৎসার অগ্রগতিকে ত্বরান্বিত করছে।
প্রদত্ত সেবার স্টেকহোল্ডার
নিনমাস বিভিন্ন ধরনের স্টেকহোল্ডারদের জন্য সেবা প্রদান করে:
১. সরকারি হাসপাতাল:
- সিএমএইচ এবং অন্যান্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান।
২. বেসরকারি হাসপাতাল:
- বিশেষায়িত হাসপাতালে রেডিওফার্মাসিউটিক্যালস (FDG এবং PSMA) সরবরাহ করা।
৩.শিক্ষার্থী ও গবেষক:
- BSMMU, Dhaka University, এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
অর্জন
নিনমাসের সাফল্য দেশের স্বাস্থ্য খাতে এক অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছে:
১. প্রথম সরকারি সাইক্লোট্রন সুবিধা চালু, যা পরমাণু চিকিৎসার জন্য একটি মাইলফলক।
২. PET-CT প্রযুক্তি প্রবর্তন, যা রোগ নির্ণয়ে উচ্চমান নিশ্চিত করেছে।
৩. আধুনিক প্রযুক্তি (DELFIA) ও যন্ত্রপাতি (AutoDELFIA, GSP) সমৃদ্ধ জন্মগত হাইপোথাইরয়ডিজম সনাক্তকরণ ল্যাব স্থাপন, যা বাংলাদেশের শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখছে।
৪. জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ৩০০+ গবেষণাপত্র প্রকাশ।
৫. প্রতিবছর প্রায় ৭০,০০০-৮০,০০০ রোগীকে সেবা প্রদান।
৬. আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ এবং গবেষণায় অংশগ্রহণ।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান
১. IAEA সহযোগিতা:
- IAEA এর সহযোগিতায় পরমাণু প্রযুক্তি উন্নয়ন এবং গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা।
২. আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ:
- উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে প্রযুক্তি বিনিময় এবং প্রশিক্ষণ।
- আন্তর্জাতিক মানের প্রশিক্ষণ প্রদান।
৩. গবেষণা ও উন্নয়ন:
- রেডিওফার্মাসিউটিক্যাল এবং থেরাপিউটিকসের নতুন দিক উন্মোচন।
- গ্লোবাল গবেষণা প্রকল্পে অংশগ্রহণ।
যোগাযোগ/জনবল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
ব্লক-ডি, ৮-১১ তলা, শাহবাগ, ঢাকা ১০০০।
ফোন: +৮৮-০২-৯৬৭৫৪৮৭, ই-মেইল : ninmas.baec@gmail.com
এখানে ক্লিক করুন
ইনস্টিটিউট-এর নিজস্ব ওয়েবসাইট
http://www.ninmas.org/