খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাস
জিপিও বক্স নং-১২, খুলনা-৯০০০
ফোন: ৪৭৭৭০২৯০২, ই-মেইল: inmaskhulnabaec1@gmail.com
আমাদের সম্পর্কে
ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালায়েড সায়েন্সেস, খুলনা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে অবস্থিত। এই ইনস্টিটিউট ১৯৮৯ ইং সাল থেকে বৃহত্তর খুলনা জেলা ও আশেপাশের জেলাসমূহের জনগণের পরমাণু চিকিৎসা এবং আল্ট্রাসাউন্ড বিষয়ক চিকিৎসা সেবা অতীব সুনামের সাথে প্রদান করে চলেছে এবং এতদঅঞ্চলের মানুষের উন্নততর স্বাস্থ্য সেবায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি অত্র ইনস্টিটিউটে শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
প্রধান কার্যক্রমঃ
যন্ত্রপাতি সমূহঃ
চলমান গবেষণা ও উন্নয়ন
অত্র ইনস্টিটিউটে নিয়মিতভাবে নিউক্লিয়ার মেডিসিন, আল্ট্রাসনোগ্রাফী ও থাইরয়েড বিষয়ে গবেষণা হচ্ছে এবং তা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার ও ওয়ার্কশপে উপস্থাপিত হচ্ছে এবং স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হচ্ছে।
সঠিক ও উন্নত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকল্পে অত্র ইনস্টিটিউট দক্ষ জনশক্তি তৈরীতে সর্বদা গুরুত্ব দিয়ে থাকে। ইনস্টিটিউটের চিকিৎসক ও পদার্থবিদগণের আই এ ই এ-এর বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় উন্নততর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। টেকনোলজিস্টগণ দূরপ্রশিক্ষণ (DAT) এবং স্থানীয়ভাবে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উন্নত প্রশিক্ষণ লাভ করেন। এছাড়া নিয়মিতভাবে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক বিষয়ের উপর চিকিৎসক, পদার্থবিদ, প্রকৌশলী এবং টেকনোলজিস্ট সমন্বয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। প্রশাসন ও হিসাব শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা স্থানীয় আঞ্চলিক লোক প্রশাসন কেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকেন।
প্রদত্ত সেবা
১. সিন্টিগ্রাফি বিভাগঃ
এই পদ্ধতিতে রোগ নির্ণয়ে গামারশ্মি নির্গতকারী স্বল্পমাত্রার রেডিও আইসোটোপ ব্যবহৃত হয়। রেডিও আইসোটোপ মুখে বা শিরার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো হয় এবং কম্পিউটারাইজড গামা ক্যামেরার মাধ্যমে পরীক্ষা কার্যক্রম করা হয়। এই পদ্ধতিতে রোগের কারণে কোন অংগের গঠনগত পরিবর্তনের আগেই তার প্রাণ রসায়ন ও ক্রিয়াকলাপ সম্পর্কিত পরিবর্তন সনাক্ত করা সম্ভব। এ কারণে অনেক ক্ষেত্রে প্রাথমিক অবস্থায় রোগ নির্ণয় করা যায়। পরীক্ষাসমূহ হলঃ
ক. SPECT:
(১) SPECT Liver Scan (২) SPECT Kidney Scan
(৩) SPECT Bone Scan (৪) SPECT 99m-HMPAO Cerebral perfusion imaging
(৫) SPECT DTPA Cerebral imaging
খ. Planner Nuclear Imaging:
(১) Thyroid Scan (২) Liver-spleen Scan (৩) Bone Scan
(৪) Brain Scan (৫) Renal Scan (৬) Reno gram
(৭) Diuretic Reno gram (৮) Captopril Reno gram (৯)Tc-99m-RBC scan
(১০) Whole Body Radio-iodine Scan (১১) Tc-MIBI parathyroid imaging
২. ইনভিট্রো বিভাগঃ
রেডিওইমিউনোএ্যাসে পদ্ধতিতে রক্তে থাইরয়েড হরমোনসহ অন্যান্য হরমোনের পরিমাণ ও ক্যান্সার মার্কার নির্ণয় করা হয়। এতে কোন তেজস্ক্রিয় পদার্থ মানব দেহে প্রবিষ্টের দরকার হয় না। বরং সংগৃহীত রক্ত পরখ নলে নিয়ে তাতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ মিশানো হয় এবং বিকিরণ মাত্রা মাপা হয়। এতে প্রতিযোগিতামূলক বন্ধন এ্যাসে নীতি ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও এনজাইম এ্যাসের মাধ্যমে রক্তে বিভিন্ন হরমোনের পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব। তবে এনজাইম এ্যাসের থেকে রেডিওইমিউনোএ্যাসে অধিকতর সঠিক ও নির্ভরযোগ্য। কারণ রেডিওইমিউনোএ্যাসে পদ্ধতিতে মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে ব্যাচ এ্যানালাইসিস করা হয়।
হরমোনসমূহঃ T3, FT3, T4, FT4, TSH, FSH, LH, Prolactine, Progesterone, Testosterone
ক্যান্সার মার্কারঃ PSA, Thyroglobulin, TgAb, TPoAb
৩. রোগ চিকিৎসায় প্রদত্ত সেবাসমূহঃ
রোগ নিরাময়ে বা চিকিৎসা ক্ষেত্রে রেডিওআইসোটোপ থেকে বিচ্ছুরিত বিটা কণা ব্যবহৃত হয়। বিটা কণা বাছাই করা কোষকলাকে ধ্বংস করে বা কোষকলার বিভাজন প্রক্রিয়াকে বন্ধ/থামিয়ে দেয়। বিটা কণা খুবই স্বল্প পথ অতিক্রম করে । তাই এ চিকিৎসায় শুধুমাত্র বাছাই করা কোষকলাই ধ্বংস হয়, আশেপাশের স্বাভাবিক কোষকলার কোন ক্ষতি হয় না বা হলেও খুবই সামান্য। এ চিকিৎসা পদ্ধতি নিরাপদএবং কিছু রোগের ক্ষেত্রে খুবই ফলপ্রসু।
সেবাসমূহঃ
থাইরোটক্সিকোসিস বা থাইরয়েড গ্রন্থির হরমোনের অতিক্ষরণ জনিত সমস্যাঃ
এই অসুখে তিন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি চালু আছে-
এ্যান্টিথাইরয়েড ড্রাগ, শল্য চিকিৎসা ও রেডিওআয়োডিন-১৩১। এর মধ্যে রেডিওআয়োডিন অত্র ইনস্টিটিউটে দেয়া হয় এবং এটা খুবই কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। কারণ এটা মুখে খাওয়ানো হয়, দামে সস্তা ও তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এতে রোগীর হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হয় না, শুধুমাত্র দুই সপ্তাহ কতিপয় নিয়ম মেনে চলতে হয়।
থাইরয়েড ক্যান্সারঃ
পেপিলারী ও ফলিকুলার থাইরয়েড ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অপারেশনের পর উচ্চ মাত্রায় (ঐরময ফড়ংব) রেডিওআয়োডিন-১৩১ দ্বারা চিকিৎসা করা হয়, যার সাফল্য প্রায় শতকরা ১০০ ভাগ। এই ক্ষেত্রে যেহেতু উচ্চ মাত্রায় রেডিওআয়োডিন ব্যবহার করা হয়, তাই রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
বিটা রেডিয়েশনঃ
চোখের টেরিজিয়াম রোগের অপারেশনের পর তা মূলোৎপাটন করা বা রোগের পুনঃরাক্রমন রোধের জন্য স্ট্রনসিয়াম বিটা এ্যাপি−কেটর দিয়ে বিটা রেডিয়েশন দ্বারা চিকিৎসা করা হয়।
থাইরয়েড ক্লিনিকঃ
থাইরয়েড রোগীদের অধিকতর চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য থাইরয়ড গ্রন্থির বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের পাশাপাশি অত্র ইনস্টিটিউটে প্রতিদিন চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়। এ ব্যবস্থার মাধ্যমে একজন থাইরয়েড রোগী স্বল্প খরচে আজীবন চিকিৎসা সেবা গ্রহণ করতে পারেন।
৪. থাইরয়েড বিভাগঃ
অত্র ইনস্টিটিউটে থাইরয়েডের নিম্নলিখিত পরীক্ষাসমূহ সম্পন্ন হয়।
৫. বোন মিনারেল ডেনসিটোমেট্রি (বি.এম.ডি) বিভাগঃ
এই পরীক্ষার মাধ্যমে Osteoporosis / Osteopenia অর্থাৎ হাড়ের ক্ষয়রোগ নির্ণয় করা হয় এবং চিকিৎসা পরবর্তী উন্নতির পরিমাণ নিরূপণ করা হয়।
৬. আল্ট্রাসনোগ্রাফীঃ
অত্র ইনস্টিটিউটে নিয়মিতভাবে আল্ট্রাসনোগ্রাফী করা হয়ে থাকে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন তথা ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এলায়েড সায়েন্সেস সমূহই সর্বপ্রথম বাংলাদেশে আল্ট্রাসনোগ্রাফী সার্ভিস চালু করে এবং এ সংক্রান্ত বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশই বর্তমানে বিভিন্ন ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এলায়েড সায়েন্সেস এ কর্মরত। আল্ট্রাসনোগ্রামের মাধ্যমে প্রাথমিক অবস্থাতেই রোগ নির্ণয় সম্ভব। পার্শ-প্রতিক্রিয়াহীন এই সেবা সমূহের মধ্যে রয়েছে-
৭. কালার ডপলার আল্ট্রাসাউন্ডঃ
এ পরীক্ষায় রক্তপ্রবাহের গতিপ্রকৃতি নির্ধারণের মাধ্যমে মানবদেহের রক্তনালীর বিভিন্ন প্রকার রোগ এবং বিভিন্ন অংগের রোগসমূহের প্রকৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভ করা যায়। পরীক্ষাপদ্ধতি নিরাপদ ও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন সেবাসমূহ হলো-
৮. রেডিয়েশন প্রোটেকশন ও বর্জ ব্যবস্থাপনা বিভাগ
৯. মেডিকেল ফিজিক্স বিভাগ
১০. শিক্ষা বিভাগঃ
সময়সূচী
শনিবার থেকে বৃহস্পতিবারঃ সকাল ৮.০০ টা থেকে দুপুর ২.৩০ মিনিট
সাপ্তাহিক ছুটিঃ শুক্রবার।
সেবা গ্রহণের নিয়মাবলীঃ
যোগাযোগ/জনবল
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাস
জিপিও বক্স নং-১২, খুলনা-৯০০০
ফোন: ৪৭৭৭০২৯০২, ই-মেইল: inmaskhulnabaec1@gmail.com