Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৭ জুন ২০১৯

পরমাণু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট

সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি (Citizen's Charter)

দুদকে অভিযোগ করতে দুদকে স্থাপিত হট লাইন, ১০৬ (টোল ফ্রি)-তে কল করা যেতে 

পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান
গণকবাড়ি, সাভার, ঢাকা - ১৩৪৯
ফোন: +৮৮-০২-৭৭৯২৫০, ফ্যাক্স: +৮৮-০২-৭৭৯০৭০০
ই-মেইল: inst@baec.org.bd

google-maps-abogados

 

 

এ ইনষ্টিটিউটের  বিভাগ ও ইউনিট সমূহ :-

বিগত জুলাই ২০০৮- জুন ২০০৯ সময়কালে আইএনএসটির এসকল বিভাগ/ইউনিটে গৃহিত/বাস্তবায়িত গবেষণা কার্যক্রমের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

 

  •  রেডিওআইসোটোপ উৎপাদন (আরআইপি)

প্রতিবেদনকালীন সময়ে এ বিভাগ রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবায় ব্যবহৃত নিম্নবর্ণিত রেডিওআইসোটোপ/রেডিওফার্মাসিউটিক্যালস উৎপাদন করে দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত কমিশনের পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি সরকারী /বে-সরকারী প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করেছে।

 

টেক-৯৯এম জেনারেটর উৎপাদন:

এ বিভাগ সাপ্তাহিকভাবে প্রতি ব্যাচে ১২-১৮টি করে টেক-৯৯এম ক্রোমাটোগ্রাফিক জেনারেটর উৎপাদন  করে  দেশের সকল নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টারে সরবরাহ করেছে। এই সময়ে বিদেশ থেকে জেনারেটর আমদানী সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হয়েছে। রেডিওআইসোটোপ উৎপাদন বিভাগ নিউক্লিয়ার মেডিসিন সেন্টারসমূহের জেনারেটরের  চাহিদা সম্পূর্ণরুপে পূরণ করতে সক্ষম হয়েছে। এসময়ে অত্র বিভাগে ৩৮ ব্যাচে মোট ৫৭১ টি জেনারেটর উৎপাদন করা হয়েছে (১৫ জিবিকিউ শক্তি বিশিষ্ট) যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২,৩৯,৮২,০০০/- টাকা (দুই কোটি উনচল্লিশ লক্ষ বিরাশি হাজার টাকা মাত্র)।

 

আয়োডিন-১৩১ রেডিও আইসোটোপ উৎপাদন:

একই বছরে ড্রাই ডিস্টিলেশন পদ্ধতিতে সাপ্তাহিক ভিত্তিতে ১২ ব্যাচে প্রায় ৩০০ জিবিকিউ আয়োডিন-১৩১ দ্রবণ উৎপাদন করা হয়েছে। এই আইসোটোপের সঠিক মান নিশ্চিত করার পরেই  দেশের নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড আল্ট্রাসাউন্ড সেন্টার (সিএনএমইউ) গুলোতে সাপ্তাহিকভাবে সরবরাহ করা হয়। আয়োডিন-১৩১ থাইরয়েড গ্রন্থির রোগ নির্ণয় এবং থাইরোটক্সিকোসিস ও থাইরোয়েড ক্যান্সার  চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত হয়। আরআইপিডিতে উৎপাদিত ৩০০ জিবিকিউ আয়োডিন-১৩১ Gi আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২২,০০,০০০/- টাকা (বাইশ লক্ষ টাকা মাত্র)।

উল্লেখিত অর্থ বছরে উৎপাদিত টেকনেশিয়াম-৯৯এম জেনারেটর ও আয়োডিন-১৩১ এর মোট আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২,৬২,০০,০০০/- টাকা (দুই কোটি বাষট্টি লক্ষ টাকা মাত্র)।

প্রকাশনা : দেশীয় জার্ণালে ৪ টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

 

  • রিএক্টর এন্ড নিউট্রন ফিজিক্স (আরএনপি)

ভূমিকা :

সাভারস্থ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত ৩ মেগা-ওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দেশের একমাত্র পরমাণু গবেষণা চুল্লীর শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় চুল্লীটির যথাযথ ব্যবহারের জন্য  "ট্রিগ্রা মার্ক-২ গবেষণা চুল্লীর ব্যবহার শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় চুল্লীটির রেডিয়াল বীমপোর্ট-২ এ নিউট্রন পা‌উডার ডিফ্রাকটোমিটার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া জাতীয় জীবনে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা ও সেবাদান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নিউট্রন এ্যাকটিভেশন এনালাইসিস ও নিউট্রন রেডিওগ্রাফী গবেষণাগারও নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। উল্লেখ্য এ সকল পদ্ধতিতে শিল্প কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের মাননিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ দূষণ নির্ণয়,স্বাস্থ্যখাতে সেবাদান এবং আধুনিক শিল্প ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বস্তুর উদ্ভাবন ও গুণাগুণ বিশে­­ষণ করা হয়ে থাকে।

অতিসম্প্রতি "ট্রিগ্রা মার্ক-২ গবেষণা চুল্লীর ব্যবহার শক্তিশালীকরণ” প্রকল্পের আওতায় পরমাণু চুল্লীকে কেন্দ্র করে বিদ্যমান গবেষণা সুবিধাসমূহের উল্লে­খযোগ্য সমপ্রসারণ ও উন্নয়ন সাধন করা হয়েছে এবং আরও উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।

 

লক্ষ্য/উদ্দেশ্যঃ

(১) Materials Characterization-Gi ক্ষেত্রে Neutron Diffraction পদ্ধতিতে প্রযুক্তিগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ  বিভিন্ন পদার্থের Crystal Structure, Atomic Positions, Site Occupancy of Constituent Atoms,  Crystal Phase, Magnetic Structure, Magnetic Moments ইত্যাদি অন্যান্য  পদ্ধতির তুলনায়  নিখুতভাবে নির্ণয় করা যায়।

 (২) নিউট্রন এ্যাক্টিভেশন এনালাইসিস পদ্ধতি ব্যবহার করে পরিবেশ দূষণ, শিল্প দূষণ, ভূগর্ভস্থ পানি, মাটি, গাছ-পালা, ফল-মূল, শাক-সবজি, অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য এবং মানবদেহ ইত্যাদিতে বিদ্যমান মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকসহ অন্যান্য ভারী মৌলের বিষাক্ততার পরিমাপ নির্ণয় করা হয়।

(৩) নিউট্রন রেডিওগ্রাফী পদ্ধতি ব্যবহার করে শিল্প কারখানাগুলোতে উৎপাদিত পণ্য সমূহের ত্রুটি যেমন অভ্যন্তরীন ফাটল, ছিদ্র, পানি শোষণ ক্ষমতা ইত্যাদি পর্যবেক্ষণ করে পণ্যগুলোর গুণগত মান নির্ণয় ও উন্নয়নে সহায়তা করা হয়।

 

 কার্যক্রম/কর্মকাণ্ড :

আইএনএসটি-এর রিএ্যাক্টর ও নিউট্রন ফিজিক্স বিভাগ ট্রিগা মার্ক-২ গবেষণা চুল্লী ও নিউট্রন জেনারেটর ব্যবহার করে নানা প্রকার গবেষণা, উন্নয়ন ও সেবাদান কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

"ট্রিগ্রা মার্ক-২ গবেষণা চুল্লীর ব্যবহার শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গবেষণা চুল্লীর ব্যবহারের ক্ষেত্রসমূহ উলে­খযোগ্য মাত্রায় বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমাদের গবেষণা চুল্লীতে স্থাপিত নিউট্রন স্ক্যাটারিং,  নিউট্রন এ্যাকটিভেশন এ্যানালাইসিস ও নিউট্রন রেডিওগ্রাফী ফ্যাসিলিটিজসমূহ এই প্রকল্পের আওতায় বহুলাংশে বৃদ্ধি ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে যার ফলে দেশের গবেষকবৃন্দ গবেষণা চুল্লীর নিউট্রন ব্যবহার করে বিশ্বমানের গবেষণা কর্ম পরিচালনা করার সুযোগ লাভ করেছে।

নিউট্রন স্ক্যাটারিং পদ্ধতিতে গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে গবেষণা চুল্লীতে একটি হাই পারফরম্যান্স নিউট্রন পাউডার ডিফ্রাকটোমিটার গত সেপ্টেম্বর মাসের ২০১১ সালে  বসানো হয়েছে। পদার্থের স্ফটিকীয় ও †PŠ¤^Kxq গুনাগুন নিরূপনের জন্য এই পদ্ধতিতে পদার্থের গাঠনিক বিশে­ষণের কাজ করা হয়ে থাকে। নিউট্রন স্ক্যাটারিং পদ্ধতিতে নিরূপিত micro-structural তথ্য পদার্থে প্রয়োগের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চুম্বকীয় বস্তুর চুম্বকীয় গুনাগুন নিরূপণে এ পদ্ধতির কোন বিকল্প নেই। সিরামিক, স্টিল, ইলেকট্রিক এবং ইলেকট্রনিক শিল্পসমূহ এ সুবিধাদি ব্যবহার করে তাদের উৎপাদিত পণ্যের মান এবং উৎপাদন কৌশল উন্নয়নে লাভবান হতে পারে।

দুটি ডিজিটাল গামা স্পেকট্রোমেট্রি সিসটেম স্থাপনের মাধ্যমে নিউট্রন এ্যাকটিভেশন এ্যানালাইসিস ফ্যাসিলিটিজের সমপ্রসারন ও আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এই পদ্ধতিতে মৌল বিশে­ষণের মাধ্যমে পরিবেশগত নমুনা, শিল্প বর্জ্য, ভূগর্ভস্থ পানি, মাটি, গাছ-পালা, ফল-মূল, শাক-সবজি, অন্যান্য খাদ্য দ্রব্য এবং মানবদেহ ইত্যাদিতে বিদ্যমান মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিকসহ অন্যান্য ভারী মৌলের বিষাক্ততা নিরূপন এবং অনেক প্রয়োজনীয় মৌলের ঘাটতিও নির্ণয় করা হয়ে থাকে। আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর দেহে আর্সেনিক এর মাত্রা নিরূপনের জন্য তাদের মাথার চুল অথবা নখ নিউট্রন এ্যাকটিভেশন এ্যানালাইসিস পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়ে থাকে। সমাজ ও পরিবেশের বহু সমস্যা কার্যকরভাবে সনাক্ত করার কাজে এই পদ্ধতির ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

নিউট্রন রেডিওগ্রাফী ফ্যাসিলিটিজ এর উন্নয়ন সাধনের লক্ষ্যে গবেষণা চুল্লীতে একটি ডিজিটাল নিউট্রন রেডিওগ্রাফী সিসটেম স্থাপন করা হয়েছে।  বিভিন্ন ধরনের পদার্থের অভ্যন্তরীন প্রতিচ্ছবি এই পদ্ধতিতে ধারণ করা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে নানা প্রকার বস্তু ও নির্মাণ সামগ্রীর গাঠনিক ত্রুটি, ভয়েড, অভ্যন্তরীণ ফাটল, ক্ষয়, সমসত্ত্বতা, পানি শোষণের ধরন ইত্যাদি নিরূপন করা হয়ে থাকে। এই পদ্ধতিটি জুট-রেইনফোর্স পলিমার, উড-প­ষ্টিক কম্পোজিট, ইত্যাদি কম্পোজিট বস্তুর অভ্যন্তরীণ অবস্থা নির্ণয়ের জন্য খুবই উপযোগী।

গত ৮ ফেব্রুয়ারী ২০১১ ইং তারিখে  একটি জাতীয় সেমিনারের মাধ্যমে দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং অন্যান্য ক্ষেত্রসমূহ থেকে আগত বিভিন্ন প্রতিনিধিবৃন্দকে দেশের একমাত্র গবেষণা চুল­ীটির বহুমাত্রিক ব্যবহারের বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে ।  পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সেমিনারটি অংশগ্রহনকারীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি হবে  এবং  প্রযুক্তি ব্যবহারে উদ্বুদ্ধ করবে। এর ফলে পরমাণু চুল্লীটিকে অধিকতর কার্যকর ও  দক্ষতাপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয় নে  সহাযক হবে।


অজিত সাফল্য :

রিএ্যাক্টর এন্ড নিউট্রন ফিজিক্স বিভাগ নিউট্রন স্ক্যাটারিং,  নিউট্রন এ্যাকটিভেশন এ্যানালাইসিস ও নিউট্রন রেডিওগ্রাফী এই তিনটি ক্ষেত্রে সেবামূলক ও মৌলিক গবেষণার কাজ পরিচালনা করে আসছে।

  • "ট্রিগা মার্ক-২ গবেষণা চুল্লীর ব্যবহার শক্তিশালীকরণ” শীর্ষক এডিপি প্রকল্পের আওতায় পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সাভারে অবস্থিত TRIGA Mark II গবেষণা চুল্লির রেডিয়েল বীমপোর্ট-২-এ  একটি High performance Neutron Powder Diffractometer স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এই যন্ত্র স্থাপনের মাধ্যমে ধাতব বস্তুর গঠন নির্ণয়ের ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। প্রতিবেদনকালীন সময়ে সলিড স্টেট সিন্টারিং পদ্ধতিতে ফেরাইট সিরিজের বিভিন্ন প্রকার নমুণাবস্তু তৈরী করা হয়েছে। নমুনাবস্তুগুলি সিংগেল ফেইজ স্পিনেল হিসাবে পাওয়া গিয়েছে এবং নিউট্রন বিক্ষেপণ কৌশল ব্যবহার করে কক্ষ ও  নিম্ন তাপমাত্রায় ফেরাইট নমুণাগুলির গাঠনিক এবং চুম্বকীয় বৈশিষ্ট্য সমূহ নির্ণয় করা হয়েছে। এগুলো মেমোরি ডিভাইস হিসেবে কম্পিউটার হার্ডডিস্ক, ফ্লপি ডিস্ক, টিভি পিকচার টিউব, বিভিন্ন ধরনের এন্টেনা, অডিও টেপ ইত্যাদিতে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
  • এ বিভাগের মাধ্যমে নিউট্রন এ্যাকটিভেশন এ্যানালাইসিস পদ্ধতিতে মাটি, পানি, খাদ্যশষ্য ও অন্যান্য খাদ্যবস্তু, শিল্প বর্জ্য ইত্যাদিতে আর্সেনিকসহ অন্যান্য বিষাক্ত মৌলের উপস্থিতি এবং আর্সেনিক আক্রান্ত রোগীর দেহে আর্সেনিকের পরিমাণ (ppm ও ppb  মাত্রায়) নির্ণয় করে সেবাদানের কাজ সম্পন্ন করা হয়। এই পদ্ধতিতে সামপ্রতিক সময়ে চট্রগ্রামের কর্ণফুলী নদীতে প্রাপ্ত কলকারখানা বর্জ্যের ভারী ও বিষাক্ত উপাদানের মৌলসমূহ নির্ণয় ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রতিবেদনকালীন সময়ে নিম্নের গবেষণামূলক কার্যাদি সম্পন্ন করা হয়েছে।
  • মানব দেহ, খাদ্য দ্রব্য, নলকূপের পানি, ইত্যাদি নমুনায় আর্সেনিক দূষণ পরিমাপ।
  • ঢাকা রপ্তানী এলাকার বিভিন্ন শিল্প কারখানা থেকে নির্গত বর্জ্যের বিষাক্ততা ও এর ফলে পরিবেশের দূষণ নির্ণয় এবং স্বল্প ব্যয়ে বর্জ্য পরিশোধনের জন্য পাইলট প্লান্ট তৈরীর গাইডলাইন প্রদান।
  • হারারগঞ্জ এলাকা থেকে প্রাপ্ত শিলা নমুনায় ইউরেনিয়াম ও থোরিয়ামের পরিমাণ নির্ণয় ।
  • বিভিন্ন ব্রাণ্ডের সিগারেট এর নমুনার মৌল বিশ্লেষণ।
  • ট্রিগা মার্ক-২ রিএ্যাক্টরের বিভিন্ন বিকিরণ স্থানে নিউট্রন স্পেকট্রার র্বৈশিষ্ট্য নিরূপণ।
  • কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের ভারী মিনারেল যেমন: ইলমেনাইট, মোনাজাইট, জিরকন, রুটাইল, ইত্যাদি নমুনা বিশ্লেষণ।
  • তুলনামূলক গবেষণার জন্য আইএইএ নমুনা-৩৯২ বিশ্লেষণ।
  • সাভার এলাকার পোলট্রি খামারে মুরগির খাবার ও ডিমের নমুনায় ক্ষতিকর মৌলসমূহ নিরূপণ।
  • এ বিভাগে নিউট্রন রেডিওগ্রাফী নিধ্বংসী পদ্ধতি ব্যবহার করে দেশীয় শিল্পকারখানাগুলোতে উৎপাদিত পণ্যসমূহের আভ্যন্তরীণ ত্রুটি ও পানি শোষণ ক্ষমতা ইত্যাদি নিরূপন করে পণ্যের গুণগত মান নির্ণয় করা যায়। উপরোল্লেখিত প্রকল্পের আওতায় রিএ্যাক্টরের ট্যানজেনসিয়াল বীমপোর্টে একটি Digital neutron radiography system স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলেছে এবং যন্ত্রটি স্থাপনের কাজ সম্পন্ন হলে দ্রুত সময়ে রেডিওগ্রাফীর কাজ করা সম্ভব হবে এবং বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে সেবা প্রদানের কাজ ত্বরান্বিত হবে।

 

অন্যান্য :


উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রমঃ
প্রতিবেদন কালীন সময়ের ভিতর অত্র  বিভাগে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যলয় এবং প্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষক/গবেষক গণের  মধ্যে দুজন তাদের পিএইচডি ডিগ্রী এবং একজন এমএসসি ডিগ্রী  অর্জন করেছেন। বর্তমানে  দুইজন পিএইচডি ডিগ্রী একজন এমফিল ডিগ্রী এবং একজন এমএসসি ডিগ্রী  অর্জনের লক্ষ্যে তাঁদের গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

 

  • নিউক্লিয়ার এন্ড রেডিয়েশন কেমিস্ট্রি (এনআরসি)

এই বিভাগে পরিচালিত গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মসূচীর প্রধান উদ্দেশ্য হলো, প্রকৃতিজাত ও কৃত্রিম পলিমার বস্তুসমূহের উন্নয়ন এবং গবেষণা চুল্লীর শীতক-সিস্টেমে ব্যবহৃত পানির গুণাগুণ নিয়ন্ত্রণ। বর্ণিত অর্থ বছরে এ বিভাগে নিম্নবর্ণিত গবেষণা ও উন্নয়নমূলক কাজগুলো করা হয়েছে :

 

রেডিয়েশন পদ্ধতিতে পলিমারিক বস্তু প্রক্রিয়াকরণ

(১)    অ্যাকরাইল অ্যামাইড ও ২-হাইড্রোক্সিল ইথাইল মিথাঅ্যাক্রাইলেট ব্লেন্ড হাইড্রোজেল-এর গুণাগুণ বিশ্লেষণঃ

গামা রেডিয়েশন প্রয়োগ করে অ্যাকরাইল অ্যামাইড ও ২-হাইড্রোক্সিল ইথাইল মিথাঅ্যাক্রাইলেট (HEMA) মিশ্রণ থেকে ব্লেন্ড হাইড্রোজেল তৈরি করা হয়েছে। তৈরিকৃত ব্লেন্ড হাইড্রোজেলের গুণাগুণের উপর রেডিয়েশন ডোজ এবং HEMA এর গাঢ়ত্ত্বের প্রভাব পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। রেডিয়েশন ডোজ এবং HEMA এর গাঢ়ত্ত্ব বৃদ্ধির সাথে সাথে জেল এর পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে কিন্তু সুয়েলিং ধর্ম কমে যাচ্ছে।

 (২)   রেডিয়েশন ভাল্কানাইজ্‌ড রাবারের গুণাগুণের উপর অ্যান্টি অক্সিডেন্টের প্রভাব

প্রাকৃতিক রাবারের গুণাগুণের উপর অ্যান্টি অক্সিডেন্টের প্রভাব দেখা হয়েছে। গাবের রসকে প্রাকৃতিক অ্যান্টি অক্সিডেন্ট হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যোগ করে 100μC তাপমাত্রায় aging করে প্রাকৃতিক রাবার ফিল্মের গুণাগুণ নিরীক্ষা করা হয়েছে।

(৩)   চিংড়ীর খোসা থেকে কাইটোসান তৈরী এবং এর গুণাগুণের উপর রেডিয়েশন ও মনোমারের প্রভাব

রাসায়নিক পদ্ধতিতে চিংড়ীর খোসা থেকে কাইটোসান তৈরী করা হয়েছে। কাস্টিং পদ্ধতিতে কাইটোসানের ফিল্ম তৈরী করা হয়েছে। উক্ত ফিল্মগুলোকে বিভিন্ন মনোমার ফরমুলেশন ও রেডিয়েশন দ্বারা ট্রিটমেন্ট করা হয়েছে। ট্রিটমেন্ট করার ফলে ফিল্মের গুণাগুণের উন্নতি হয়েছে। মডিফাইড কাইটোসান ফিল্ম বায়োমেডিক্যাল ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায়।

(৪)   প্রাকৃতিক পলিমার থেকে বায়োডিগ্রেডেবল প্যাকেজিং ম্যাটেরিয়াল তৈরী এবং তাদের গুণাগুণের উপর রেডিয়েশনের প্রভাব

সামুদ্রিক শেওলা থেকে সোডিয়াম আলজিনেট তৈরী করা হয়েছে। সোডিয়াম আলজিনেট থেকে কাস্টিং পদ্ধতিতে ফিল্ম তৈরী করা হয়েছে। তৈরীকৃত ফিল্মের গুণাগুণ বৃদ্ধির জন্য রেডিয়েশন প্রয়োগ করা হয়েছে। এতে থার্মাল প্রোপারটি (মেল্টিং পয়েন্টে) বৃদ্ধি পেয়েছে।

(৫)   জিলেটিন থেকে ফিল্ম তৈরী এবং তাদের গুণাগুণের উপর রেডিয়েশনের প্রভাব

জিলেটিন হলো এক বিশেষ ধরনের বায়োপলিমার যা চিকিৎসাক্ষেত্রে গুরুত্ব বহন করে। কাস্টিং পদ্ধিতে জিলেটিনের ফিল্ম তৈরী করা হয়েছে এবং তাদের গুণাগুণ পরিবর্তনের জন্য রেডিয়েশন দ্ধারা ট্রিটমেন্ট করা হয়েছে। ট্রিটমেন্টকৃত ফিল্ম চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার উপযোগী হবে বলে আশা করা যায়। জিলেটিন থেকে পলিজিলিন (রক্তের প্লাজমা বৃদ্ধিকারক) তৈরীর উপর গবেষণা কাজ চলছে।

(৬)   জুট রেইনফোরসড পলিপ্রোপিলিন কম্পোজিট তৈরী

পাটের এবং পলিপ্রোপিলিন কম্পোজিট তৈরীর উপর গবেষণা কাজ (R&D works) চলছে। Light housing materials তৈরীর উপযোগী কম্পোজিট তৈরী করা সম্ভব হয়েছে।

সেবা দান : একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান (H. R. Latex products Ltd. Chittagong) থেকে সরবরাহকৃত Latex এর বিভিন্ন   parameter যেমন, TSC, KOH number, Mechanical Stability Time (MST), Volatile Fatty Acid (VFA) number, pH value এবং Alkalinity  measure করা হয়েছে।

 

একাডেমিক কার্যক্রম

প্রকাশনা: জাতীয়/আন্তর্জাতিক বৈজ্ঞানিক পত্রিকাসমূহে ১৫(পনের) টি বৈজ্ঞানিক গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে।

থিসিস তত্ত্বাবধান: ১১ (এগার) জন এমএসসি/বিএসসি ছাত্র থিসিস সম্পন্ন করেছেন।

সেমিনার আয়োজন: রেডিয়েশন প্রসেসিং এর উপরে SAARC Seminar সম্পন্ন করা হয়েছে।

 

অর্জন

  • চিংড়ীর খোসার উপর গবেষণালব্ধ ফলাফলের উপর ভিত্তি করে চিংড়ীর খোসা থেকে Chitosan তৈরীর একটি সেমি পাইলট প্লান্ট তৈরী করা সম্ভব হয়েছে।  এটি দ্বারা সপ্তাহে ১ কেজি কাইটোসান তৈরী করা সম্ভব হবে।
  • Polygelene নামক এক ধরনের artificial blood plasma extender তৈরীর গবেষণা উন্নয়নের জন্য Opso Saline Ltd. এবং BAEC এর সাথে একটি MoU স্বাক্ষরিত হয়েছে।
  • Composite এর গবেষণার উপর ভিত্তি করে Polypropelene এবং পাট দ্বারা Semi-Pilot Scale এ ঢেউটিন তৈরীর জন্য DPHE এবং BAEC এর সাথে এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ কম্পোজিটগুলো হালকা ধরনের বাড়ীঘর তৈরী করতে এবং সেনিটেশন সামগ্রী উৎপাদনের জন্য ব্যবহৃত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্যাটেন্ট জমা দেয়া হয়েছে।

 

  • রিএ্যাক্টর ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড কন্ট্রোল (আরইসি)

 

গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকান্ড

(১) TRIGA Mark-II গবেষণা চুল্লীর জন্য Online Digital Reactivity Meter : Online Digital Reactivity Meter এর একটি Upgraded Version তৈরী করা হয়েছে। রিএ্যাক্টর ইঞ্জিনিয়ারিং ও কন্ট্রোল বিভাগ (RECD) এর বিজ্ঞানীদের নিজস্ব প্রযুক্তিজ্ঞানের সাহায্যে কাজটির প্রয়োজনীয় Hardware & Software উন্নয়ন করা হয়েছে। Upgraded Version টি শীঘ্রই TRIGA Mark-II গবেষণা চুল্লীর Console এর সাথে সংযোগ দেয়া হবে।

(২) Field Power Supply for Pulsed Field Gel Electrophoresis : Pulsed Field Gel Electrophoresis কাজের জন্য একটি উন্নতমানের High Voltage Field Power Supply  তৈরির লক্ষে গবেষণাকর্ম চালু আছে। ইতোপূর্বে IFRB এর Insect Biotechnology গবেষণাগারে জন্য একটি নমুনা Field Power Supply তৈরী করা হয়েছে।

(৩) Time Attendance System for INST: আইএনএসটি এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য একটি Time Attendance System স্থাপন করা হয়েছে। উক্ত সিস্টেমের জন্য ডাটাএন্ট্রি ও রক্ষাণাবেক্ষণের কাজ নিয়মিত করা হচ্ছে।

(৪) প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড (PCB) ডেভেলপমেন্ট ফ্যাসিলিটি : RECD ল্যাবে স্থাপিত কম্পিউটারইজড PCB ডেভেলপমেন্ট এন্ড মেকিং ফ্যাসিলিটি দ্বারা অত্র ইনস্টিটিউটসহ কমিশনের অন্যান্য গবেষণাগারের চাহিদা মাফিক নিয়মিত PCB তৈরী করে দেয়া হচ্ছে।

 

  • পরমাণু চুল্লী পদার্থ বিদ্যা ও প্রকৌশল বিভাগ

 অত্র বিভাগে, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগীতায় পরমাণু চুল্লী গবেষণা কাজে ব্যবহৃত কম্পিউটার কোডসমূহ দ্বারা পরমাণু উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণ, পরমাণু  চুল্লী পদার্থ বিদ্যা, ডিজাইন এবং নিরাপত্তা বিশে­ষণ সংক্রান্ত গবেষণা কাজ করা হয়ে থাকে। দেশের ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ভবিষ্যৎ পরমাণু বিদ্যুৎ উৎপাদন কর্মসূচীর অবকাঠামো উন্নয়ন হলো এই বিভাগের মূল লক্ষ্য।  বিভাগের গবেষণা কার্যক্রম গুলোর মধ্যে রয়েছে -

    Reactor Engineering and Nuclear Data Processing

    Reactor Analysis and Reactor Design

    Heat Transfer and Thermal Hydraulics Studies

    Radiation Shielding Technology.

    Materials Strength Studies

    IAEA Coordinated Research Project (CRP-1496)

 

এতদ-ব্যতীত দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চ শিক্ষা কার্যক্রমে এই বিভাগ সহযোগীতা করে আসছে। বিজ্ঞানীদের নিরলস চেষ্ঠার ফলশ্রুতিতে এ পর্যন্ত বেশ কিছু সফলতা অর্জিত হয়েছে। দেশের একমাত্র  TRIGA Mark-II  গবেষণা পরমাণু চুল্লীর Safety Analysis Report (SAR)  প্রস্তুতি ছাড়াও অধিকতর রেডিও আইসোটোপ তৈরীর জন্য TRIGA core এর নতুন বিন্যাস প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশীয় প্রযুক্তিতে ও সহজলভ্য কাঁচামাল দ্বারা দুটি তেজস্ক্রীয় রশ্মি  নিরোধক Ilmenite- Magnetite (IM) Concrete এবং Polyboron উদ্ভাবণ করা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের Brachytherapy স্থাপনা, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের industrial radiotherapy স্থাপনার জন্য Isotope storage pit এবং Neutron Radiography Facility of TRIGA at Tangential Beam Port এর  radiation shielding নকশাসমূহ প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু গবেষক অত্র বিভাগ হতে Ph.D. এবং M.Sc. গবেষণা কাজ সম্পন্ন করেছেন।

 

  • আইসোটোপ হাইড্রোলজি

পানি সমস্যা সমাধানে তেজস্ক্রিয় পানি বিজ্ঞান প্রযুক্তি একটি গুরুত্ব্বপূর্ণ কৌশল। এই প্রযুক্তি ভূ-গর্ভস্থ পানির উৎস, চলাচল, মজুদ ও দূষণ পরীক্ষণে বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গুরুত্বের সাথে ব্যবহৃত হচ্ছে। পানি সম্পদের প্রকৃত মূল্যায়ন, টেকসই উন্নয়ন এবং সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় তেজস্ক্রিয় পানি বিজ্ঞান প্রযুক্তি (আইসোটোপ হাইড্রোলজি) বিশেষ সহায়তা করতে পারে। আমাদের দেশে ভূ-গর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতির কারণ অনুসন্ধান, দূষণ প্রশমনের কৌশল ও ভবিষ্যতে গভীর অ্যাকুইফারে আর্সেনিক দূষণের সম্ভাব্যতা যাচাই করার কাজে এই প্রযুক্তি দক্ষতার সাথে ব্যবহার করা হচ্ছে।

 

গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রমঃ

১)  Isotope Hydrology for Groundwater Resources Exploration

এটি বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীর আওতায় চলমান প্রকল্প। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন মেয়াদকাল জুলাই ২০০৬ হতে ডিসেম্বর ২০০৯। অত্র বিভাগপ্রকল্পের কর্মপরিকল্পনাঅনুসারে২০০৮-০৯অর্থবছরেসম্পাদিতব্য কাজ সফলভাবেসম্পন্ন করেছে। এ প্রকল্পের আওতায়সাতক্ষিরাজেলার শ্যামনগর, মানিকগঞ্জ জেলার শিংগাইর এবং সিলেটজেলার দক্ষিণসুরমা, বিশ্বনাথ, গোয়াইনঘাটওকোম্পানিগঞ্জ উপজেলাএলাকা হতে আইসোটোপিক ও রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য সর্বমোট মোট ৫২টি ভূ-গর্ভস্থ পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এ বিশ্লেষণীয় ফলাফল ভূ-গর্ভস্থ পানির পূনর্ভরণ, প্রবাহ এবং বিভিন্ন অ্যাকুইফারের মধ্যে মিশ্রণ পদ্ধতি জানাতে সহায়ক হবে।

২) Assessment of Trends in Fresh Water Quality using Environmental Isotopes and Chemical Techniques for Improved Resource Management (RAS/8/104)  

আন্তর্জাতিক পরমাণূ শক্তি সংস্থা (আইএইএ)-এর আঞ্চলিক সহযোগিতা চুক্তির আওতায় এটি বংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন কর্তৃক গৃহীত চলমান প্রকল্প। প্রকল্পের মুখ্য উদ্দেশ্য হল রাসায়নিক ও আইসোটোপ পদ্ধতি ব্যবহার করে ভূ-গর্ভস্থ অ্যাকুইফারের পানিতে বিদ্যমান দূষিত পদার্থের প্রকৃতি ও তার চলাচল অনুসন্ধান নির্ণয় করা। এই প্রকল্পের আওতায় মানিকগঞ্জ জেলার শিংগাইর উপজেলা এবং চট্টগ্রাম শহরের বন্দর ও হালিশহর এলাকা হতে রাসায়নিক, আইসোটোপিক ও ট্রেস ইলিমেন্ট বিশ্লেষণের লক্ষ্যে অগভীর ও গভীর নলকূপের পানি সংগ্রহ করা হয়।

৩) Application of Isotope Techniques for Planning and Management of water Resources in Coastal Area (BGD/8/020)

এ প্রকল্পের আওতায় অত্র বিভাগ 14C বয়স নির্ণয়ের লক্ষ্যে নমুনা প্রস্তুত ও বিশ্লেষণের জন্য CO2 এ্যাবজর্বশন পদ্ধতি ও লিকুইড সেন্টিলেশন কাউন্টার যন্ত্র সংগ্রহ করা হয়। আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার বিশেষজ্ঞের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সংগৃহীত লিকুইড সেন্টিলেশন কাউন্টার  যন্ত্রের পরীক্ষা এবং CO2 এ্যাবজর্বশন পদ্ধতির মাধ্যমে নমুনা প্রস্তুত করা হয়। বর্তমানে অত্র বিভাগ ভূ-গর্ভস্থ পানির প্রবাহ নির্ণয়ের জন্য 14C বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে স্বয়ংসম্পূণ|

৪)    Sampling and Isotopic analysis of Groundwater in five Pourashova area and Selective villages (BAEC-BWSPP collaborative project)

বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন ও Bangladesh Water Supply Project Program (BWSPP) এর মধ্যে স্বাক্ষরিত যৌথ সহযোগিতামূলক কাজ। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল আইসোটোপিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশের আর্সেনিক সমস্যার সমাধান করা। প্রকল্পের আওতায় বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও চাঁদপুর পৌরসভা এলাকা হতে আইসোটোপ ও রাসায়নিক বিশ্লেষণের জন্য সর্বমোট ৮৭ টি পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়। নমুনাসমূহের আইসোটোপিক বিশ্লেষণের কাজ আইসোটোপ হাইড্রোলজি ল্যাব, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ), ভিয়েনা, অস্ট্রিয়াতে সম্পাদন করা হয়। এর রাসায়নিক বিশ্লেষণের কাজগুলো আইসোটোপ হাইড্রোলজি বিভাগ, পরমাণু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট, সাভারে সম্পাদিত হচ্ছে।

৫)    একাডেমিক কার্যক্রম

থিসিস তত্ত্বাবধান : জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের দুজন ছাত্রকে যথাক্রমে Hydrogeological and Hydrochemical Study of Shyamnagar Upazila, Satkhira District with Special Emphasis on Groundwater QualityGes  “A Study on the Water Quality of Singair Upazila, Manikganj District with Special Emphasis on the Potentiality of Lower Aquifers” থিসিস তত্ত্বাবধান সেবা প্রদান করা হয়েছে।

সেমিনার: বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্প “আইসোটোপ হাইড্রোলজি ফর গ্রাউন্ডওয়াটার রিসোর্সেস এক্সপ্লোরেশন”-এর আওতায় “হাইড্রোলজিক্যাল সমস্যা নিরসনে আইসোটোপ পদ্ধতির ব্যবহার” শীর্ষক জাতীয় সেমিনার ২৪ জুন ২০০৯, পরমাণু ভবন, আগারগাঁও, শেরে বাংলা নগর, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। এই সেমিনারে বিভিন্ন সরকারী, বেসরকারী ও বিশ্ববিদ্যালয় হতে ৪২ জন বিজ্ঞানী অংশগ্রহণ করেন।

 

  • স্বাস্থ্য পদার্থ ও তেজস্ক্রিয় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

এই গবেষণাগারে পেশাজীবী বিকিরণকর্মী ও জনগণের উপর বিকিরণ সম্পাতের মূল্যায়ন ও নিয়ন্ত্রণ এবং তেজস্ক্রিয় বর্জ্যের সুষ্ঠু সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জনস্বাস্থ্য তথা পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। উল্লেখ্য সম্প্রতি এইআরই সাভারে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বিশেষজ্ঞ সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ ও সংরক্ষণাগার স্থাপনের মাধ্যমে তরল তেজস্ক্রিয় বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ/বিদূষণকরণ কাজে প্লান্টটি নিয়মিতভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

 

উল্লেখযোগ্য গবেষণা ও উন্নয়ন কার্যক্রম

১)   পরিবেশগত তেজস্ক্রিয়তা পরিবীক্ষণ

পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাভারে অবস্থিত তিন মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন TRIGA Mark II গবেষণা চুল্লীর ১০ কি.মি. ব্যাসার্ধের মধ্যে সংগৃহীত পরিবেশগত নমুণাসমূহের যেমন- বায়ু, মাটি, পানি, শাক-সব্জি, ঘাস, দুধ, মাছ, মাংস, ফলমূল ইত্যাদি প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়াজাতকরণের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক ও কৃত্রিম রেডিও নিউক্লাইডের জন্য গামা স্পেকট্রোমেট্রিক সিস্টেমের সাহায্যে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা নির্ণয় করা হয়েছে। গবেষণা চুল্লীর Fall-out থেকে সংগৃহীত নমুণার প্রাপ্ত ফলাফল থেকে দেখা যায় যে, গবেষণা চুল্লী চালনার ফলে পরিবেশে বাড়তি কোন তেজস্ক্রিয়তার দূষণ ঘটে এবং পরিমাপকৃত তেজস্ক্রিয়তার পরিমাণ আনতর্জাতিক মাত্রার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।

২)    কঠিন তেজস্ক্রিয় বর্জ্য সংগ্রহ ও নিরাপদ ব্যবস্থাপনা

সাভারস্থ পরমাণু শক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান -এর বিভিন্ন নিউক্লিয়ার ফ্যাসিলিটি (যেমন- গবেষণা রিএ্যাকটর, রেডিও আইসোটোপ উৎপাদন গবেষণাগার, নিউট্রন জেনারেটর চালনা ও রক্ষাণাবেক্ষণ, সংশ্লিষ্ট গবেষণাগার ইত্যাদি), বিভিন্ন সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং বেসরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত কঠিন বর্জ্যগুলি (যেমন- টিস্যু পেপার, হাত মোজা, সু-কভার, দূষিত কাপড়, গ্লাস ভায়াল, মেটালিক দ্রব্যাদি ইত্যাদি) কমপ্যাক্‌টেবল এবং নন কমপ্যাক্‌টেবল বর্জ্যের শ্রেণীবিন্যাস ও  নিরাপদ সংরক্ষণ করা হয়েছে।  

৩)     তরল তেজস্ক্রিয় বর্জ্য