Wellcome to National Portal
বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ মার্চ ২০২৫

ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এ্যালায়েড সায়েন্স, ময়মনসিংহ, ময়মনসিংহ-২২০০ ।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাস
জিপিও বক্স নং-৪৭, ময়মনসিংহ-২২০০।
ফোন: ৯৯৬৬৬৭০১৩, ই-মেইল : inmasmymensingh.baec@gmail.com

 

আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য

বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন দেশের সর্ববৃহৎ ও একমাত্র পরমাণু গবেষণা বিষয়ক বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন এন্ড এলাইড সায়েন্সেস (ইনমাস), ময়মনসিংহ,  বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন-এর একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের মাধ্যমে ১৯৮৯ সাল থেকে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত রয়েছে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে সর্বাধুনিক স্পেক্টসিটি, সিঙ্গেল ও ডাবল হেড স্পেক্ট গ্যামা ক্যামেরা চলমান রয়েছে যা মানব শরীরের অত্যন্ত ক্ষতিকর ক্যান্সার রোগ নির্ণয়সহ বৃহত্তর ময়মনসিংহের চিকিৎসা সেবায় অনন্য ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয়েছে। আরও উল্লেখ থাকে যে, সম্প্রতি এ ইনস্টিটিউটে MRI ও নিউক্লিয়ার মেডিসিনের বিশেষায়িত প্রযুক্তি  PET-CT সংযোজিত হচ্ছে। যা ক্যান্সার রোগীদের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবায় অত্যন্ত গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম।

 

চলমান গবেষণা ও উন্নয়ন 

ইনমাস, ময়মনসিংহ-এর চলমান গবেষণা কার্যক্রমের সমন্বয় সাধন করে ইনস্টিটিউটের চিকিৎসা সেবার মান আধুনিক ও যুগোপযোগী করাটাই এই ইনমাস-এ প্রধান লক্ষ্য । রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি ইনমাস, ময়মনসিংহ বিভিন্ন ধরণের গবেষণা কর্মসুচি পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ সমস্ত গবেষণা কর্মসুচি বিভিন্ন সংস্থার প্রকল্পের অথবা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের অধীনে নিয়মিত পরিচালিত হয়ে থাকে । বর্তমানে অত্র ইনস্টিটিউটে  M.Phil/MD নিউক্লিয়ার মেডিসিন কোর্স চালু করার একটি প্রকল্প প্রক্রিয়াধীন আছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন বিষয়ের স্নাতকত্তোর মেডিকেল শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণের জন্য নিয়মিতভাবে ইনমাস, ময়মনসিংহ-এ আসেন। ইনস্টিটিউটের সহায়তায় অনেকে তাদের থিসিস/ডিজারটেশন সম্পন্ন করেন।

 

প্রদত্ত সেবা 

নিউক্লিয়ার স্ক্যানিং : SPECT/CT ক্যামেরাটি সর্বাধুনিক যার মধ্যে টমোগ্রাফিক স্ক্যানিং সুবিধা রয়েছে। স্প্যাক্ট ক্যামেরা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন মস্তিস্ক, যকৃৎ কিডনি, হার্ট ও অস্থি ইত্যাদি স্ক্যানের কাজে ব্যবহৃত হয়। এই পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট অঙ্গের জন্য নির্ধারিত কিট পরিমাণমত রেডিওআইসোটোপের সাথে মিশিয়ে রোগীর শরীরে প্রবেশ করানোর পরে গামা ক্যামেরার মধ্যেমে ঐ অঙ্গের ছবি নিয়ে রোগ নির্ণয় করা হয়। স্প্যাক্ট ক্যামেরাটি শরীরের যে কোন অঙ্গের গভীরে অবস্থিত টিউমারের সিঠিক অবস্থান নির্ণয় করতে সক্ষম। গামা ক্যামেরার মাধ্যমে রেনোগ্রাম ও কিডনী স্ক্যান করে কিডনীর অবস্থান, আকার-আকৃতি, জন্মগত ক্রটি, কিডনী টিউমার, প্রদাহ এবং কিডনীর কোন অংশের কোষকলার কার্যকারিতা ইত্যাদি জানা যায়। রেনোগ্রাম পরীক্ষার বিশেষত্ব এই যে, এর দ্বারা একই সঙ্গে কিডনির আকার-আকৃতি এরং কিডনীর কার্যকারিতার শতকরা হার নির্ণয় করা যায়। রোগীদের ফলোআপের প্রয়োজনে এ পরীক্ষা বারবার করা যায়। কিডনীর রক্তনালীর সংকোচনের (Renal Artery Stenosis)  জন্য উচ্চ রক্তচাপ হয়েছে কিনা জানার জন্য ইনমাস, ময়মনসিংহে ক্যাপটোপ্রিল রেনোগ্রাম করা হয়।

থাইরয়েড : Thyroid ক্যামেরায় গলগন্ড, থাইরোটোক্সিকোসিস ও থাইরয়েড ক্যান্সারসহ থাইরয়েডের সব ধরণের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে। নিউক্লিয়ার থেরাপী পদ্ধতির মাধ্যেমে নিম্নলিখিত বিশেষ চিকিৎসা সেবাসমূহ অত্র ইনস্টিটিউটে চালু রয়েছে :

  • Thyrotoxic রোগীর I131 থেরাপীর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং পরবর্তী পর্যবেক্ষণ।
  • Hypothyroid এবং Thyroiditis রোগীর সেবা প্রদান।
  • Thyroid Cancer রোগীর I131 থেরাপীর মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা প্রদান এবং পরবর্তী পর্যবেক্ষণ।

কালার ডপলার : রোগ নির্ণয়ে আল্ট্রাসনোগ্রামের ব্যবহার বর্তমানে সর্বজনবিদিত। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আজকাল এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হচ্ছে। অত্র ইনস্টিটিউটের এই শাখাতে রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশী। নিকটবর্তী হাসপাতালের অধিকাংশ রোগী প্রয়োজন অনুযায়ী আল্ট্রাসনোগ্রামের জন্য এই ইনস্টিটিউটে আসেন। পেশাগত চিকিৎসাকদের ব্যবস্থাপত্র নিয়েও অনেক রোগী এ সুবিধা নিয়ে থাকেন। আল্ট্রাসনোগ্রাম দিনে দিনে একটি নিত্যনৈমিত্তিক পরীক্ষায় পরিণত হচ্ছে। এ পরীক্ষা খুব সহজে এবং ঝুঁকিমুক্তভাবে শরীরের অভ্যন্তরের বিভিন্ন অঙ্গ যেমন যকৃত, পিত্ত, কিডনী এবং উদরিক অঙ্গসমূহের পর্যবেক্ষণ করে থাকে। গর্ভবর্তী মাদের ভ্রুণের অবস্থা পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে এ পরীক্ষা ধীরে ধীরে রোগীদের এবং চিকিৎসকদের কাছে অপরিহার্য ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

আরআইএ/ক্লিয়া পদ্ধতির মাধ্যমে রোগ নির্ণয় : রেডিওইমুনোএ্যাসের দ্বারা বিভিন্ন  হরমোনের মাত্রা নির্ণয় করা হয়ে থাকে। থাইরয়েড সম্পর্কিত হরমোন, প্রজনন হরমোন ও টিউমার মার্কার, যেমন Serum-T3 , T4 , TSH,  FT4, FSH, LH, Prolactin, Progesterone, Testosterone, TG, TMAb TPOab, Estradiol, Cortisol, PSA, CEA, AFP, CA-125, CA-19.9, CA-50, CA-153 etc. নির্ণয় করা হয়।

 

প্রদত্ত সেবার স্টেকহোল্ডার

প্রদত্ত সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বিষয়ে স্টেকহোল্ডারগণের সমন্বয়ে পরিচালক, অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ নাসিম খান-এর সভাপতিত্বে ২৪/০৯/২০২৪ তারিখ দুপুর ১২:৩০ ঘটিকায় অত্র ইনস্টিটিউটের সম্মেলন কক্ষে ২০২৪ - ২০২৫ অর্থ বছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ)-এর অর্ন্তভূক্ত ১ম ত্রৈমাসিক কার্যক্রমের ১ম কোয়ার্টারের লক্ষ্যমাত্রার অধিনে সেবা প্রদান প্রতিশ্রুতি বিষয়ে স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে অবহিতকরণ সভা আয়োজন করা হয়। এ ধরণের সভা বছরে দু-তিনবার করা হয়ে থাকে।

 

অর্জন

২০০১ সাল থেকে সকল চিকিৎসা যন্ত্রপাতি এবং অন্যান্য ফেসিলিটিস বিদ্ধমান আছে। বর্তমানে কার্যপরিধি আগের তুলনায় বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রোগীর সংখ্যাও বহুগুণে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রাজস্ব আয় অনেকগুণ বেড়েছে।

  • অধিক রোগীর পরীক্ষা-নিরীক্ষার চাপ মোকাবিলা করে ইনস্টিটিউটের আয় বৃদ্ধি করা।
  • সেবার গুণগতমান উন্নত করা।
  • ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে পরমাণু চিকিৎসা বিষয়ে সেমিনার ও সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করা অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান লক্ষ্য।

 

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান

ইনস্টিটিউটের চিকিৎসা বিজ্ঞানীগণ বিভিন্ন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সেমিনার সিম্পোজিয়ামে নিয়মিত অংশগ্রহণ ও গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করে থাকেন। গবেষণার ফলাফল দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন জার্নালে প্রকাশিত হয়ে থাকে।

 

যোগাযোগ/জনবল

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাস
জিপিও বক্স নং-৪৭, ময়মনসিংহ-২২০০।
ফোন: ৯৯৬৬৬৭০১৩, ই-মেইল : inmasmymensingh.baec@gmail.com

এখানে ক্লিক করুন