অধ্যাপক ডা. শামীম মমতাজ ফেরদৌসী বেগম
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ২৫ জানুয়ারি ২০২৩ খ্রি. তারিখে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কমিশনের বিশিষ্ট নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. শামীম মমতাজ ফেরদৌসী বেগম বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সদস্য (পরিকল্পনা) (চলতি দায়িত্ব) পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। সদস্য পদে নিযুক্ত হওয়ার পূর্বে তিনি কমিশনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস, শাহবাগ, ঢাকা এর পরিচালক হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমে অবদান রেখেছেন।
অধ্যাপক ডা. শামীম মমতাজ ১৯৬৫ সালে রাজশাহী বিভাগের ঠাকুরগাঁও জেলার আমগাঁও গ্রামের সম্ভান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১লা মার্চ, ১৯৯০ সালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস, খুলনা- এ যোগদান করেন। পরবর্তীতে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সনে নিউক্লিয়ার মেডিসিনের উপর স্নাতকোত্তর DNM ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ২০১৬ সালে এশিয়ান নিউক্লিয়ার মেডিসিন বোর্ড (FANMB)-এর ফেলোশিপ ডিগ্রী অর্জন করেন। এছাড়া আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) ও অন্যান্য সংস্থা থেকে প্রাপ্ত ফেলোশিপ-এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানী, সিঙ্গাপুর, কোরিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ হতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। দেশী ও আন্তর্জাতিক জার্নালে তাঁর ৭০ টিরও বেশী গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি চিকিৎসা সেবা ও গবেষণার পাশাপাশি চিকিৎসা শিক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেছেন। তিনি দীর্ঘকাল ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন অ্যান্ড অ্যালায়েড সায়েন্সেস-এর পরিচালক এবং বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি স্নাতকোত্তর MD নিউক্লিয়ার মেডিসিন (রেসিডেন্সি) কোর্স, বিএসএমএমইউ এর একজন ফ্যাকাল্টি সদস্য। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের অতিথি শিক্ষক। তিনি একজন মেধাবী চিকিৎসক, গবেষক ও শিক্ষকতা পেশায় নিবেদিত ব্যক্তি।
প্রশাসনিক দক্ষতার পাশাপাশি চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত যেমন: প্রেসিডেন্ট, সোসাইটি অব নিউক্লিয়ার মেডিসিন বাংলাদেশ (SNMB), কার্যকরী পরিষদ সদস্য বাংলাদেশ থাইরয়েড সোসাইটি (BTS), অজীবন সদস্য বাংলাদেশ সোসাইটি অব আল্ট্রাসানোগ্রাফি (BSU), এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (BMA) ইত্যাদি। এছাড়া তিনি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক নিউক্লিয়ার মেডিসিন সংগঠনের কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত আছেন এবং বিভিন্ন সময়ে IAEA TC, CRP প্রজেক্ট এবং KOICA প্রকল্পে NPC এর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি কমিশনের চিকিৎসা সেবা ও গবেষণার পাশাপাশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর গবেষণার তত্বাবধায়ক হিসেবে কাজ করেছেন। ব্যাক্তিগত জীবনে অধ্যাপক ডাঃ শামীম মমতাজ ফেরদৌসী বেগম ০২ কন্যা সন্তানের জননী।